দীর্ঘ লকডাউন পেরিয়ে সারা দেশে খুলে যাচ্ছে রিলায়েন্স জুয়েলসের শোরুম। কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি গাইডলাইন মেনে গ্রাহকদের শারীরিক সুরক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রিলায়েন্স জুয়েলসের প্রতিটি শোরুমে থাকছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও গ্লাভসের বন্দোবস্ত। শোরুমের দরজার মুখে ক্রেতাদের শরীরের তাপমাত্রা মেপে তবেই ঢোকানো হবে। থাকছে তাদের জুতো স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা। একইসঙ্গে শোরুম কর্মীদেরও নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করে নেওয়া হবে। তাঁদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। কর্মীদের জন্য মাস্ক ও গ্লাভসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ক্রেতাদের টানতে হিরে ও সোনার নিত্যনতুন ডিজাইনের গয়না নিয়ে হাজির হচ্ছে রিলায়েন্স জুয়েলস। বিভিন্ন দামের মধ্যে ক্রেতারা পেয়ে যাবেন সোনা ও হিরের আকর্ষণীয় সমস্ত গয়না এবং গোল্ড কয়েন। রিলায়েন্স জুয়েলসের স্পেশাল অতুল্য ও অপুর্ভম কালেকশনের সঙ্গে থাকছে বেলা-র মতো হালকা ওজনের চোখ ধাঁধানো সব গয়না। থাকছে ১ গ্রাম, ৫ গ্রাম থেকে ১০ গ্রামের সোনার কয়েন। এছাড়া ট্র্যাডিশনাল, রিজিওনাল ও কনটেম্পোরারি গয়নার হাজারো কালেকশন নিয়ে হাজির হচ্ছে রিলায়েন্স জুয়েলস।
শোরুমে প্রবেশের আগে ক্রেতাদের ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে নেওয়া হচ্ছে। দোকানে প্রবেশের পর থাকছে হাত স্যানিটাইজ করার বন্দোবস্ত। শোরুমের মধ্যে প্রত্যেকের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকী শোরুমে বসার সময় অন্তত সাড়ে তিন ফুট ব্যবধান রাখা হচ্ছে গ্রাহকদের মধ্যে।
এখানেই শেষ নয়। করোনা আবহে সুরক্ষাবিধি সর্বোচ্চ করতে প্রত্যেক জুয়েলারি আইটেম স্যানিটাইজ করার বন্দোবস্ত করেছে রিলায়েন্স কর্তৃপক্ষ। সেখানে গয়নার উপাদান অনুযায়ী হয় সাধারণ স্যানিটাইজার ব্যবহার হচ্ছে না হলে আল্ট্রাসনিক মিডিয়ামের মাধ্যমে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে সমস্ত গয়না। গয়না কিনে দাম দেওয়ার সময় ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। কারণ এতে সংক্রমণের আশঙ্কা একেবারেই থাকছে না।
Comments are closed.