শুধু মাদ্রাসাই নয়, সরকারি খরচে চলা সমস্ত সংস্কৃত টোলও বন্ধ করে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিল অসম সরকার।
জনগনের টাকায় ধর্মীয় শিক্ষা চলবে না। এই যুক্তি দিয়ে কয়েকদিন আগেই অসমের শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছিলেন, সরকারি খরচে চলা সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। জনতার করের টাকায় ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া আর সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন তিনি। তবে সংস্কৃত টোল নিয়ে তখনই কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। এবার সংস্কৃত টোল বন্ধের কথাও জানালেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
সূত্রের খবর, আগামী মাসেই মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোল নিয়ে দুটি আলাদা নোটিস জারি করবে অসমের বিজেপি সরকার। অসমের মন্ত্রী তথা প্রভাবশালী বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানান, বেসরকারি খরচে যেসব ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলছে সেগুলো তাদের মতোই চলতে পারে। তবে সরকারি ব্যয়ে আর কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই না আমরা। তিনি বলেন, আগে বিধানসভাতেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানানা হয়েছিল। অসমের শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রী জানিয়েছেন, যে শিক্ষকেরা সরকারি মাদ্রাসায় পড়াচ্ছেন, তাঁদেরকে অন্য স্কুলে বদলি করে দেওয়া হবে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বিজেপি নেতা তথা অসমের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, সরকারি খরচে চলা সমস্ত মাদাসা ও সংস্কৃত টোল বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে অসম সরকার।
অসম সরকারের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর পক্ষে বিপক্ষে নানা মতামত উঠে এসেছে।
এই মুহূর্তে মোট ৬১৪ টি সরকারি মাদ্রাসা রয়েছে অসমে। বেসরকারি মাদাসার সংখ্যা ৯০০ টি। অন্যদিকে সরকারি সংস্কৃত টোলের সংখ্যা ১০০ এবং বেসরকারি টোলের সংখ্যা ৫০০ টি।
সরকারের দাবি, প্রতিবছর ৩-৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে যায় এই মাদ্রাসা চালাতে। টোল চালাতে বছরে খরচ হয় ১ কোটি টাকা। তাই এই টোল ও মাদ্রাসাগুলোতে আর্থিক ব্যয় অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।
Comments are closed.