ত্রিপুরায় বড় সাফল্য তৃণমূলের। বিজেপি, কংগ্রেস সিপিএমের একাধিক নেতা কর্মী যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জির উপস্থিতিতে বিভিন্ন দল থেকে আসা নেতা কর্মীরা যোগ দেন তৃণমূলে। ঋতব্রত জানান ত্রিপুরার অমরপুর থেকে ৬০ টি পরিবার এসে যোগ দেয় ঘাসফুল শিবিরে। এছাড়া সিপিএম থেকে ৭৬ জন, বিজেপি থেকে ৭৬ জন, কংগ্রেসের ৩২ জন এবং ত্রিপুরা মোথার ৫১ জন যোগ দেয় তৃণমূলে। সেই সঙ্গে মোহরপুরের ৫টি পরিবার থেকে ২৫ জন, বিলুনিয়া থেকে ৩ জন এবং প্রতাপগড়ের ৩ জন। সবমিলিয়ে ২৩৫ জন এদিন তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
যোগদান শেষে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক নেতা বলেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যেভাবে এত মানুষ তৃণমূল যোগ দিলেন, তাতে তাঁদেরকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির উপর ত্রিপুরার মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তাঁরা তৃণমূলে আসছেন।
বিপ্লব দেবের সরকার তাঁকেও হেনস্থা করেছে বলে এদিন অভিযোগ করেন ঋতব্রত। তিনি জানান, রাতে থাকার জন্য পর পর তিনটে হোটেলে গেলেও তাঁকে কোথাও ঘর দেওয়া হয়নি। অনেক ঘোরাঘুরির পর শেষ পর্যন্ত তিনি একটি হোটেলে ঘর পান। যদিও ভোর হতেই তাঁকে ঘর ছাড়তে অনুরোধ করেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। ঋতব্রত বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের দোষ নেই। তাঁরা স্বীকার করেছেন তাঁদের উপর সরকারের চাপ রয়েছে। তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, বিপ্লব দেবের সরকার হোটেল ফ্যাসিবাদ চালাচ্ছে।
বুধবার রাতে ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ত্রিপুরা এয়ারপোর্টে নামলেই তৃণমূলকে তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করা হবে। এদিন সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ঋতব্রত পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে। বলেন, সংবিধানের শপথ নেওয়া এক বিজেপি বিধায়ক তালিবানি কায়দায় আক্রমণের নিদান দিচ্ছে। তাহলে বুঝতে হবে তালিবানদের মতো বিজেপির কাছেও অস্ত্রশস্ত্র মজুত রয়েছে। এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তৃণমূল নেতা আরও দাবি করেন, বিজেপি বিধায়ক এই কথা বলছে মানে ধরে নিতে হবে কেন্দ্রের মোদী সরকারের তালিবান শাসনে সমর্থন রয়েছে।
Comments are closed.