ছোটবেলায় মাকে অত্যাচারিত হতে দেখে আইপিএস অফিসার হওয়ার সংকল্প নিয়েছিলেন, জানুন শালিনী অগ্নিহোত্রির কাহিনী

এক গরিব পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন। বাবা ছিলেন বাস কন্ডাক্টর। সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে তিনি আজ একজন আইপিএস অফিসার হয়েছেন। নাম শালিনী অগ্নিহোত্রি। নিজের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আইপিএস অফিসার হয়ে তিনি প্রমান করে দেখিয়ে দিয়েছেন যে মেয়েরা যদি সঠিক শিক্ষা ব্যবস্থা পায় তবে তাঁরা জীবনে সফল হতে পারে।

শালিনী এক গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল। তার বাবা একজন সামান্য বাস কন্ডাক্টর ছিলেন। শালিনীর বাবা মেয়েকে কষ্ট করে হলেও ভালো স্কুলে পরিয়েছিলেন। তবে আইপিএস অফিসার হওয়া শালিনীর জন্য খুব একটা সহজ ছিল না। কারণ তাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। হিমাচল প্রদেশের উনা জেলার একটি দরিদ্র পরিবারের জন্ম। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল শালিনী। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে আইপিএস অফিসার হবেন। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর তিনি পালামপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন। ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু হয়।

তিনি জানিয়েছেন, খুব ছোট বয়সে মায়ের সঙ্গে বাসে করে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি বার বার তাদের সিটে হাত দিচ্ছিল। শালি নীর মা প্রতিবাদ করায় তাঁকে মারধর করা হয়। তিনি তখন বুঝেছিলেন, ক্ষমতা থাকলে সব সম্ভব। নিজেকে আইপিএস অফিসার বানানোর সংকল্প নেন তিনি। ২০১১ সালে প্রথম চেষ্টায় ইউপিএস সি পরীক্ষায় সফল হন তিনি। ২০১২ সালে তিনি কোয়ালিটি টেস্টেও সারা ভারতে ২৮৫ তম স্থানে ছিলেন।

Comments are closed.