ধীরে ধীরে ভারতের অন্যতম মেরুদণ্ডে পরিণত হয়েছে এলআইসি। যে কোনও পরিবার তাদের সঞ্চয়ের জন্য আস্থা রাখে এলআইসির উপর। এলআইসি-র শেয়ার বিক্রির ঘোষণার তীব্র বিরোধিতায় এবার সামিল হলেন বলিউডের জনপ্রিয় বাঙালি চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সুজিত সরকার।
সিএএ থেকে জেএনইউ পড়ুয়াদের উপর হামলা, একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বলিউডের একটি বড় অংশ। এবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা নিগমের বেসরকারিকরণেও নিজেদের মতামত ব্যক্ত করল বলিউড।
মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে বাঙালি পরিচালক সুজিত সরকার লেখেন, ধীরে ধীরে এ দেশের শিরদাঁড়া হয়ে ওঠে এলআইসি। প্রত্যেকটি পরিবার তাদের চূড়ান্ত সঞ্চয়ের জন্য এলআইসি-র উপর আস্থা রাখে। তাই এমন একটি সংস্থা সম্পর্কে যে কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে অতি সতর্কতা ও চরম সংবেদনশীলতা জরুরি। নবজাতকের মতো এই সংস্থার যত্ন নেওয়া উচিত।
সরসরি কেন্দ্রের এলআইসি-র শেয়ার বিক্রির সমালোচনা না করলেও ঘুরিয়ে মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করলেন ভিকি ডোনার, পিকু, অক্টোবর সিনেমার পরিচালক সুজিত সরকার। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ইস্যুতে নিজের মতামত রাখেন সুজিত। কাউকে খুঁচিয়ে বা কটাক্ষ না করলেও নিজের অবস্থান দৃঢ় থাকেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ‘পোশাক দেখে বোঝা যায় কারা হিংসা ছড়াচ্ছে’, মন্তব্য থেকে বিজেপি নেতা বিজয়বর্গীয়র ‘বাংলাদেশ চিনতে চিঁড়ে খাওয়া’-সহ একাধিক মন্তব্যের বিরোধিতায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে সূক্ষ্ম সমালোচনা ও মত রাখেন বাঙালি চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। এবার এলআইসি-র শেয়ার বিক্রির বিরোধিতা করলেন সুজিত।
গণপিটুনির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেওয়া থেকে শুরু করে এনআরসি, সিএএ বিরোধী আন্দোলন, জেএনইউ পড়ুয়াদের উপর আক্রমণের মতো একাধিক রাজনৈতিক ইস্যুতে সরগরম বলিউড। অপর্ণা সেন থেকে শুরু করে অনুরাগ কাশ্যপ কিংবা স্বরা ভাস্কররা খোলাখুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করছেন। এবার সেই তালিকায় নাম ঢুকে গেল বাঙালি পরিচালক সুজিতেরও।
Comments are closed.