২০০২ থেকে ২০০৪ সালের রাজ্যে এসআইআর অনুযায়ী ভোটার তালিকায় নিজের অথবা বাবা-মায়ের নাম থাকলে আর নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। এসআইআর শুরু করে একথা জানাল নির্বাচন কমিশন।
দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সোমবার বাংলা সহ ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর ঘোষণা করার পর এই শর্তই প্রধান হয়ে দাঁড়াল।
সোমবার রাত ১২টা থেকেই বাংলা সহ এই রাজ্যগুলিতে ভোটার তালিকা ‘ফরিজ হয়ে গেল। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া সংশোধিত ভোটার তালিকা। সেই তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগ, নালিশ, আবেদন, শুনানি ও নথিপত্র জমা দেওয়ার পর্ব সমাপ্ত হলে ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ৪ নভেম্বর শুরু হবে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কাজ। বুথ লেভেল অফিসাররা প্রতিটি পরিবারের কাছে গিয়ে ইনিউমারেশন ফর্ম দেবেন। সেই আবেদনপত্র পূরণ করে স্বাক্ষরিত ফর্ম দিতে হবে বিএলওর কাছে। ভোটার তালিকার অনলাইন লিংক খুলে যদি দেখা যায়, সেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম রয়েছে এবং সব তথ্যই ২০২৫ সালের মতো, তাহলে তৎক্ষণাৎ অনুমোদন দিয়ে দেবেন বিএলও।
মঙ্গলবার এই ইস্যুতে সমালোচনায় সরব হয়েছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন এসআইআর এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এর মাধ্যমে এনআরসি চালু করতে চলেছে।

Comments are closed.