গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এখনও অধরা ভ্যাকসিন কিংবা করোনা নিরাময়ের ওষুধ। এরই মধ্যে চেন্নাইয়ের এক বৈজ্ঞানিক সূর্যগ্রহণ এবং করোনাভাইরাসের সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছেন। নিউক্লিয়ার অ্যান্ড আর্থ সায়েন্টিস্ট ডক্টর কে এল সুন্দরকৃষ্ণের দাবি, গত বছর ২৬ ডিসেম্বর শুরু হওয়া সূর্যগ্রহণের সঙ্গে করোনাভাইরাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং আসন্ন সূর্যগ্রহণের দিন, অর্থাৎ ২১ জুন করোনাভাইরাস সমাপ্ত হয়ে যাবে!
বিজ্ঞানী কে এল সুন্দরকৃষ্ণের দাবি, সূর্যগ্রহণের পর খণ্ডে খণ্ডে বিভাজিত হওয়া শক্তির কারণে নিউট্রন কণার সঙ্গে সংঘর্ষে করোনাভাইরাস ভেঙে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা ANI এর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, আমাদের জীবন শেষ করতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের আবির্ভাব হয়েছে। মনে হচ্ছে, ২৬ ডিসেম্বর শেষ সূর্যগ্রহণের পর সৌর মণ্ডল এবং গ্রহগুলোর মধ্যের অবস্থান বদলে গিয়েছে।
ডক্টর সুন্দরকৃষ্ণার মতে, গ্রহগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বদলের কারণে শক্তির তারতম্য তৈরি হয়েছে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে করোনাভাইরাস উৎপন্ন হয়েছে। এই নিউট্রন সূর্যের সবচেয়ে বেশি খণ্ডিত শক্তি থেকে বেরিয়েছে। বায়ো মলিকিউলার প্রোটিনের মিউটেশন এই ভাইরাসের একটি সম্ভাব্য সূত্র হতে পারে।
বৈজ্ঞানিক সুন্দরকৃষ্ণের মত অনুযায়ী, এই মিউটেশন প্রক্রিয়া সর্বপ্রথম শুরু হয় চিনে। যদিও এই দাবির সত্যতা প্রমাণিত নয়। বৈজ্ঞানিকের আরও ব্যাখ্যা, এই মারণ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কোনও পরীক্ষা বা জেনে বুঝে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াসও হতে পারে। এবং আগামী রবিবারের সূর্যগ্রহণ করোনাভাইরাসকে খতম করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। ডাক্তার সুন্দরকৃষ্ণের মতে, সূর্য কিরণের তীব্রতা ভাইরাসের কার্যক্ষমতা ধ্বংস করে দেবে।
বৈজ্ঞানিক সুন্দরকৃষ্ণ অবশ্য মানুষকে ঘাবড়ে না যাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, যা হবে তা নিয়ে মানুষের ভয়ের কোনও কারণ নেই, এটা সৌরমণ্ডলের ব্যাপার। প্রকৃতি নিজেই নিজের সুশ্রুষা করে সুস্থ হয়ে উঠবে।
আগামী ২১ জুন, রবিবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ সূর্যগ্রহণ শুরু এবং দুপুর ১ টা ৪৯ মিনিটে গ্রহণ শেষ। ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইথিওপিয়া এবং কঙ্গো থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে। চেন্নাইয়ের বৈজ্ঞানিকের দাবি অনুযায়ী, যে গ্রহণের সাথে সাথেই বিশ্ব থেকে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস।
Comments are closed.