ইমরানকে কটাক্ষ করে সহবাগের ট্যুইটে প্রতিক্রিয়া সৌরভের, পাক প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ মহারাজের

ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসা নতুন নয়। অতি সম্প্রতি বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন ২০১১ বিশ্বকাপের তারকা গৌতম গম্ভীর। এর আগে কীর্তি আজাদ কিংবা মহম্মদ আজহারউদ্দিন মাঠের পাশাপাশি ফুল ফুটিয়েছেন রাজনীতির ময়দানেও। এবার কি সৌরভের পালা?

বৃহস্পতিবার দুপুরে বীরেন্দ্র সহবাগ একটি ট্যুইট করেন। তাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি নিউজ চ্যানেলের অনুষ্ঠানের ভিডিও পোস্ট করে সহবাগ লেখেন, ‘ক’দিন আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জে অতি কুৎসিত ভাষণের পর মনে হচ্ছে এই ভদ্রলোক নিজেকে অপমান করার নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করছেন’। আমেরিকার এমএসএনবিসি চ্যানেলের অত্যন্ত জনপ্রিয় ‘মর্নিং জো’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সহবাগ সেই ভিডিও শেয়ার করেই এই কথাগুলো লিখেছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা নাগাদ সহবাগের ট্যুইটে কমেন্ট করেন তাঁর ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বীরেন্দ্র সহবাগকে বীরু বলে সম্বোধন করে লেখেন, আমি এটা দেখে মর্মাহত। এমন ভাষণ শুনব তা ভাবতে পারিনি। এই বিশ্ব শান্তি চায়, আরও বেশি করে শান্তি প্রয়োজন পাকিস্তান নামে দেশটির, আর তার নেতা এইসব আবর্জনা বলে বেরাচ্ছেন। বিশ্ব যে ক্রিকেটার ইমরান খানকে চেনে, ইনি সেই ইমরান খান নন। রাষ্ট্রপুঞ্জের ভাষণটি সত্যিই দুঃখজনক’।

এর আগে আন্তর্জাতিক কিংবা কূটনৈতিক রাজনীতি নিয়ে এভাবে খোলাখুলি মন্তব্য করতে দেখা যায়নি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। এমনকী বরাবরই রাজনীতির ছোঁয়া সচেতনভাবে এড়িয়েই গিয়েছেন মহারাজ। কিন্তু এবার প্রতিবেশী দেশের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের ভাষণে তীব্র শ্লেষ প্রকাশ করলেন বিশ্ব ক্রিকেটের আরেক সেরা অধিনায়ক। এর মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে মহারাজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা? সহবাগের ট্যুইটে করা সৌরভের কমেন্টের ভাষা নিয়েও অনেকেই কৌতুহলি। তাঁরা মনে করছেন, ইমরানকে বিঁধে করা কমেন্ট, আগামীর কোনও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার সলতে পাকানো হতে পারে। যেখানে সাধারণত প্রকাশ্যে খেলার বাইরে কোনও মন্তব্য না করা সৌরভ, রাজনীতি নিয়েও মাঠের মতোই অকুতোভয় মনোভাব দেখাতে শুরু করবেন।

বাম জমানায় রাজ্যের দুঁদে মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সৌরভ সরাসরি রাজনীতিতে না এলেও ক্রিকেট প্রশাসনে নেমে পড়েছেন খেলা ছাড়ার পরই। সিএবি সভাপতি সৌরভ যে আসন্ন বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচনে অন্যতম ফেভারিট তারও ইঙ্গিত মিলেছে। তবে নিয়মের নিগড়ে সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি নির্বাচিত হলেও, তাঁর সময়কাল হবে খুবই কম। এই প্রেক্ষিতে তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই সহবাগের ট্যুইটে সৌরভের চাঁচাছোলা কমেন্টটিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। তাহলে কি রাজনীতিতেও দাদাগিরি শুরু?

Comments are closed.