ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট। শুক্রবার আদালত জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে জেলের ভিতরে তিনি যাতে চিকিৎসা পরিষেবা পান তা নিশ্চিত করবে মহারাষ্ট্র সরকার।
২০১৮ সাল থেকে মুম্বইয়ের বাইকুল্লা মহিলা জেলে বন্দি ৫৮ বছর বয়সী সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ। প্রথমে এনআইএ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন পেশায় আইনজীবী সুধা ভরদ্বাজ। জানিয়েছিলেন ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের মতো কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁর। জেলের মধ্যে কয়েকজন ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমিত হওয়ায় তিনি হাই রিস্ক জোনে আছেন। তাই স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে জামিন দেওয়া হোক। এনআইএ আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়ার পর মুম্বই হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন সুধা ভরদ্বাজ। শুক্রবার সেখানেও খারিজ হয়ে যায় জামিনের আবেদন। এনআইএয়ের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অনিল সিংহ আদালতে সওয়াল করেন, যদি সুধা ভরদ্বাজের হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় মহারাষ্ট্র সরকার তা করবে।
ভীমা কোরেগাঁও-এলগার পরিষদ মামলায় আর এক জেলবন্দি ৮১ বছর বয়সী কবি ও সমাজকর্মী ভারাভারা রাওয়ের উদাহরণ টানেন তিনি। জানান, কীভাবে অসুস্থ ভারাভারা রাওকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাবি মেনে সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বম্বে হাইকোর্টে এর আগে ভারাভারা রাও যখন জামিনের আবেদন করেছিলেন, এনআইএ দাবি করেছিল প্যান্ডেমিকের সুযোগ নিতে চাইছেন তিনি। সম্প্রতি অবশ্য হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে জেলে ফিরে গিয়েছেন বর্ষীয়ান কবি ভারাভারা রাও।
২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ভীমা কোরেগাঁও হিংসার ঘটনায় মদত দেওয়া ও মাওবাদী যোগের অভিযোগে সুধা ভরদ্বাজ, ভারাভারা রাও, ভার্নন গঞ্জালভেজ ও অরুণ ফেরেইরা প্রমুখকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে জেলে বন্দি রয়েছেন সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ।
Comments are closed.