মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। আর এদিনই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাজপেয়ী, আডবাণী ঘনিষ্ঠ সুথীন্দ্র কুলকার্নি। সাক্ষাতের পরেই তাঁর ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য, এই সাক্ষাতের অর্থ আপনারাই বুঝে নিন। আর যার জেরে তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কুলকার্নির মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৃণমূলে এলে তা নিঃসন্দেহে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হবে।
জাতীয় রাজনৈতিক পরিসরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত সুথীন্দ্র কুলকার্নি। ২০১৪ সালে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রজেক্ট করার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। শোনা যায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যও লিখে দিতেন কুলকার্নি। পরে লালকৃষ্ণ আডবাদিনীর ঘনিষ্ঠ হিসেবেও রাজনৈতিক মহলে তাঁর পরিচিত বাড়তে থাকে। এহেন ব্যক্তিত্বের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করছে দেশের রাজনৈতিক মহল।
মঙ্গলবার সুথীন্দ্র কুলকার্নির সঙ্গে জাভেদ আখতারও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জিও। সূত্রের খবর, প্রায় ১ ঘন্টা তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। যার জেরে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন শুরু হয়েছে এবার কি সুথীন্দ্র কুলকার্নিও তৃণমূলের পথে?
Comments are closed.