নিজে করোনা থেকে সেরে উঠে গরিব মানুষের জন্য কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে দিলেন সুরাটের ব্যবসায়ী। ৬৩ বছর বয়সী ব্যবসায়ী কাদের শেখের ৩০ হাজার স্কোয়ার ফুটের অফিসে এখন গড়ে উঠেছে ৮৫ শয্যার কোভিড হাসপাতাল। রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। গরিব মানুষ সেখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন বলে ঘোষণা করোনাজয়ী ব্যবসায়ীর।
মাসখানেক আগে করোনা সংক্রমিত হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সুরাটের ব্যবসায়ী কাদের শেখ। ডাক্তারদের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠলেও কয়েকদিনে কাদের শেখের খরচ হয়েছিল কয়েক লক্ষ টাকা। তাঁর না হয় আর্থিক সঙ্গতি আছে, তাই চিকিৎসা করাতে পেরেছেন। কোনও গরিব মানুষ করোনা সংক্রমিত হলে কী করবেন! এই ভাবনা থেকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই শ্রেয়ম কমপ্লেক্সে নিজের ৩০ হাজার স্কোয়ার ফুটের প্রকাণ্ড অফিসকে হাসপাতালে বদলে ফেলতে উদ্যোগ নেন কাদের শেখ। নাতনির নামে হাসপাতালের নাম রাখেন হিবা হাসপাতাল। করোনা রোগীদের জন্য সেখানে ৮৫ টি বেডের বন্দোবস্ত করেছেন তিনি, রয়েছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন কাদের শেখ। পাশাপাশি সুরাট পুরসভার সঙ্গে চুক্তি করে হাসপাতালে ১৫ টি আইসিইউ বেডেরও বন্দোবস্ত সেরে ফেলেছেন। স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে এই কোভিড হাসপাতালকে সাহায্য করছে স্থানীয় পুরসভা। গত মঙ্গলবার কাদের শেখের হাসপাতাল পরিদর্শন করে সেখানে কোভিড রোগীর চিকিৎসার অনুমতি দেন সুরাট পুরসভার কমিশনার বিএন পানি ও ডেপুটি হেলথ কমিশনার ডাক্তার আশিস নায়েক।
নিজের অফিসকে হাসপাতালে বদলে দেওয়া নিয়ে কাদের শেখ বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ এখানে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। মুখে রুপোর চামচ দিয়ে জন্মাইনি আমি। জীবনে বহু লড়াই করে তবে সফল হতে পেরেছি। এখন আমার অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো। তাই অতিমারির সময় আমার সাধ্যমতো গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এই হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত সেই কারণেই।
শুধু হাসপাতালই নয়, ডাক্তার ও নার্সদের থাকার জন্য আলাদা ঘরের বন্দোবস্তও করেছেন ওই ব্যবসায়ী। রান্নাঘর ও ডাইনিং হল তৈরি শেষ। রোগীদের জন্য সেখানে তৈরি হবে খাবার-দাবার। তারও পয়সা লাগবে না, জানান ব্যবসায়ী কাদের শেখ।
Comments are closed.