মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আচমকা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সুষমা স্বরাজ। বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। অনেক দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এ বার লোকসভা ভোটেও লড়েননি।
মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি হন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যান হর্ষ বর্ধন, স্মৃতি ইরানি, প্রকাশ জাভড়েকরের মতো মন্ত্রীরা। গভীর রাতে যান অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ। মোদী টুইট করেন, ‘সুষমা স্বরাজ দুর্দান্ত বক্তা ও অসাধারণ সাংসদ ছিলেন। দল নির্বিশেষে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল।’ দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের মধ্যেই সুষমার মৃত্যুর খবর পান রাহুল গাঁধীও। তিনিও লেখেন, ‘অসাধারণ নেত্রী। ভাল বক্তা। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ছিল সকলের কাছে।’ সুষমা স্বরাজের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা লিখে টুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সুষমার রাজনৈতিক জীবন শুরু এবিভিপি-র সদস্য হিসেবে। জরুরি অবস্থার পরে বিজেপিতে যোগ দেন। ১৯৭৭ সালে দেবীলালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করলে ২৭ বছর বয়সে হরিয়ানার শিক্ষামন্ত্রী হন সুষমা। ১৯৯০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯৮ সালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ঘটনায় সরকার পড়ে যাওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে ফিরে যান তিনি। বাজপেয়ী সরকারে প্রথমে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক এবং পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিজেপির প্রধান মুখ ছিলেন সুষমা। রাতেই সুষমার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাসভবনে।
Comments are closed.