বিধানসভা ভোটে ২০০ পার করবে বিজেপি। কলকাতায় বসে অনেক নেতা অনেক কথা বলবেন, মানুষের ভিড় বুঝিয়ে দেবে ‘ঘরের ছেলের’ সঙ্গে আছেন তাঁরা। বিজেপি নেতা হিসেবে দ্বিতীয় জনসভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার কাঁথিতে তৃণমূলের সভায় ছিলেন না অধিকারীবাড়ির কোনও সদস্য। সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম ও অখিল গিরির জনসভায় লোক হয়েছিল ভালই। সেখান থেকে ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘ধান্দাবাজ’ বলে শুভেন্দুকে তীব্র আক্রমণ করেন সৌগত ও ফিরহাদ। আর বৃহস্পতিবার পাল্টা সভা পর্যন্ত অপেক্ষা করেননি শুভেন্দু। জনজোয়ারে ভাসতে ভাসতে পদযাত্রা থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানালেন তিনি। এদিনও তাঁর নিশানায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। বলেন, কোনও ভাইপোকে নিয়ে আমার আপত্তি নেই। ‘তোলাবাজ ভাইপো’কে নিয়ে আপত্তি আছে। দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনে জিতবে বিজেপি। তোলেন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি।
ফিরহাদকে আক্রমণ করে তাঁর বার্তা,’কলকাতাকে যিনি মিনি পাকিস্তান বলেছিলেন তিনি আমাকে গতকাল নীতিশিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন। কাঁথির পবিত্রভূমিতে এসে মন্তব্য করেছেন।’ এছাড়া সৌগত রায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, সৌগত বাবুর মুখে নীতির কথা মানায় না। ‘৯৮ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিনি যোগ করেন, কাঁথির বুকে বিজেপির সমর্থনে জনজোয়ার প্রমাণ করছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের কথা।
এদিনের বিজেপির পদযাত্রা ও সভায় শুভেন্দুর সঙ্গে ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সৌমিত্র খাঁ, শঙ্কুদেব পাণ্ডার মতো বিজেপি নেতারা।
Comments are closed.