পার্শ্বশিক্ষকরা ৫০ হাজার চিঠি পাঠাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে
বিকাশ ভবনের কাছে ফুটপাথে অনশনরত পার্শ্ব শিক্ষকরা এবার বেতন কাঠামোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের নেতা ভগীরথ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পার্শ্বশিক্ষকদের অভিন্ন বেতন কাঠামো তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সব রাজ্যকে। ২৮ টি রাজ্য সেই নির্দেশ মানলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা মানতে রাজি নয়। তারা কিছু ভাতা বাড়িয়ে আমাদের হাতে ললিপপ ধরিয়ে দিয়েছে। এর প্রতিবাদেই আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ৫০ হাজার চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি জানান, আমরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলন করছি না, এটা বেতন কাঠামো ঘোষণার আন্দোলন।
বেতন কাঠামোর দাবিতে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ গত কয়েকদিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে ফুটপাথে ধরনা চালাচ্ছেন। শুক্রবার থেকে ৪০ জন লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে নিভা মন্ডল, অরুণ কুমার জানা, সত্য কুমার মন্ডল এবং ইদ্রিস আলি নামে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের বিধাননগরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শিক্ষকদের এক সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমাদের যেটুকু ক্ষমতা, সেটুকুই দেব। কেউ যদি কেন্দ্রের মতো বেতন চান, দিতে পারব না। তা হলে আপনারা কেন্দ্রে চলে যান। কেন্দ্রের আর রাজ্যের বেতনক্রম আলাদা। তিনি বলেন, শিক্ষকরা কথায় কথায় রাস্তায় বসে পড়েন। আপনারা যদি বলেন, স্ট্রাইক করব, কালো ব্যাজ পরব, তা হলে বাচ্চারা কী শিখবে? আমি শিক্ষকদের সম্মান করি। কিন্তু তাঁরা কি ভাবেন? লাফিয়ে লাফিয়ে মাইনে বাড়বে? গত বছর পার্শ্বশিক্ষকদের এক লাফে অনেকটা বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। আর এখন বাড়ানো সম্ভব নয়। কোথা থেকে দেব টাকা? কেন্দ্র সেস নিয়ে যায়, বাম জমানার ঋণ শোধ করতে করতে আর পেরে উঠছি না।
পার্শ্বশিক্ষকদের এই আন্দোলন মঞ্চে বাম, ডান নির্বিশেষে সিপিএম, আরএসপি, সিপিআই, এসইউসি,কংগ্রেস, বিজেপি-সহ সব বিরোধী দলের নেতারা এসে পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু শাসক দলের কেউ আসেননি। উল্টে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি বলেছেন, ওঁরা ক্লাস না করে এই আন্দোলন করছেন কি না, খোঁজ নিতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে কথা বলার আশ্বাস দিয়ে গিয়েছেন।