রবিবার আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, শিবসেনার কর্মসূচি ঘিরে উত্তপ্ত অযোধ্যা, আশঙ্কা গণ্ডগোলের

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দাবিতে শুরু হয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ধর্মসভা। সেখানে উপস্থিত হয়েছে ভিএইচপি, আরএসএস, শিবসেনার কয়েক হাজার সমর্থক। উপস্থিত সাধু, সন্ত ও ধর্মগুরুরা। রবিবার সকাল হলেই মন্দিরের দাবিতে যাত্রা শুরু করবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এবার রাম মন্দিরের দাবিতে অযোধ্যায় স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে পা রাখলেন শিবসেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে। উদ্ভব বলেন, তিনি জানতে এসেছেন ঠিক কত তারিখ থেকে রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে। তাঁর কথায়, ‘আগে মন্দির, তারপর অন্য কথা।’
মহারাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যে ৩ হাজার শিবসেনা কর্মী ও সমর্থক অযোধ্যায় হাজির হয়েছেন বলে খবর। শিবসেনা প্রধান পুণের শিবনেরী দুর্গ থেকে মাটি এনেছেন রাম জন্মভূমির পুরোহিতের হাতে তুলে দেবেন বলে। তারপরে যাবেন অযোধ্যায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ডাকা ধর্ম সংসদ-এ। শিবসেনা প্রধান এই প্রথম বার অযোধ্যা গেলেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন সঞ্জয় রাউত, একনাথ সিন্দে প্রমুখ শিবসেনা নেতা।
উদ্ভবের অযোধ্যা যাত্রার খানিক আগেই দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’তে বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করা হয়েছে। শুধু ভোটের আগেই বিজেপির রাম মন্দির তৈরি করার কথা মনে পড়ে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তাই সরকারের ‘কুম্ভকর্ণের ঘুম’ ভাঙাতে শিবসেনা প্রধান নিজেই হাজির অযোধ্যায়।
অন্যদিকে, অযোধ্যায় ভিএইচপির রবিবার পৃথক সভা রয়েছে বলে খবর। ভিএইচপি জানিয়েছে, রবিবার অযোধ্যায় তাদের ওই ‘ধর্মসভা’ হল ‘যুদ্ধের আগে শেষ দামামা’। এর পরে সরাসরি মন্দির নির্মাণই লক্ষ্য। একই দিনে নাগপুর এবং বেঙ্গালুরুতেও সভা করবে তারা। শিবসেনা ও ভিএইচপি দুই পক্ষেরই দাবি, তারাই মন্দির তৈরির আসল দাবিদার।
রাম মন্দিরের দাবি আর সেই সঙ্গে হিন্দুবাদী নেতাদের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই সরগরম অযোধ্যা। সব মিলিয়ে রাম ভক্তদের আস্ফালনে ঘুম ছুটেছে সরকার, প্রশাসন এবং অবশ্যই সংখ্যালঘুদের।

Comments are closed.