সঙ্গী মনের জোর আর প্রতিভা, বিশ্বের দরবারে বাংলাকে শ্রেষ্ঠ করতে ফ্রান্স পাড়ি বাংলার দরিদ্র পরিবারের জয়িতা

দু বেলা ভালো করে খাবার জোটে না। প্র্যাক্টিস করার জায়গাও নেই। কিন্তু মনের জোর প্রবল সঙ্গে আছে প্রতিভা। সেটাকেই সঙ্গী করে চুঁচুড়ার মেয়ে পাড়ি দিচ্ছে ফ্রান্সে। বিশ্বে দরবারে জিমন্যাস্টিক্সে বাংলার নাম উজ্জ্বল করার চেষ্টায় চুঁচুড়ার জয়িতা মল্লিক।

আগামী মে মাসে ফ্রান্সে বসবে স্কুল জিমন্যাস্টিক্সের আসর। গোটা দেশ থেকে মোট ১২ জন পড়ুয়া সেখানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আর সেই তালিকায় নাম তুলে ফেলেছে বাংলার মেয়ে চুঁচুড়ার জয়িতা মল্লিক। জয়িতার কোচ একজন পুলিশকর্মী, নাম মৌনী কর্মকার। তিনি জয়িতার সাফল্যে খুশি। কিন্তু অর্থের অভাব ভাবিয়ে তুলছে মৌনীকে। খেলার মাঠের অভাবও রয়েছে। দুবেলা ভালো করে প্র্যাক্টিস না করলে পুরস্কার আনা কঠীন। তাই বাঁশবেড়িয়া তরুণ সংঘের কাছে রাস্তার ওপর ফ্লোর এক্সারসাইজ করে সে। কারণ এলাকার মাঠ ছেলেদের দখলে, তাই সেখানে প্র্যাক্টিস করা যায়না।

ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা প্রত্যেকটা মানুষ চেনেন জয়িতাকে। কারণ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ফ্লোর এক্সারসাইজ করতে দেখাযায় তাঁকে। হুগলি গার্লসের দ্বাদশের ওই পড়ুয়া সে। চুঁচুড়ার চকবাজারের শান্তিপল্লির বাসিন্দা জয়িতার বাবা জয়ন্ত মল্লিক মেলায় ঘুরে ঘুরে খেলনা বিক্রি করেন। মা অঙ্গনওয়াড়ির হেল্পারের কাজ করেন। অর্থের অভাবের কাছে হার মানতে নারাজ জয়িতা। সে জানিয়েছে, বাংলার মুখ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। কোনও একদিন সাফল্য আসবেই।

Comments are closed.