ছবিতে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর, আর হেডলাইনে লেখা, ‘ইন্ডিয়া’স ডিভাইডার ইন চিফ, বিখ্যাত মার্কিন পত্রিকা ‘টাইম’ এর ২০ শে মে সংখ্যার প্রচ্ছদ নিয়ে দেশজুড়ে শোরগোল। এবার তাতে লাগল হাসির ছাপ।
মোদীকে নিয়ে মার্কিন পত্রিকার প্রচ্ছদ নিবন্ধ আসলে সমালোচনা না সম্মান, সেটাই গুলিয়ে ফেলেছেন অনেকে। আর না বুঝে পত্রিকার প্রচ্ছদের ছবি তুলে ধরে, মোদীর প্রশস্তি করে দেদারে পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেমন একজন ট্যুইটারে লিখেছেন যেখানে, টাইম ম্যাগাজিন মোদীকে ‘ইন্ডিয়া’স ডিভাইডার ইন চিফ’ বলছে তখন দেশের বিরোধীরা তাঁকে স্বৈরাচারী বলে অভিযোগ করছেন! আর একজন ট্যুইটে লিখেছেন, পাকিস্তানি মুসলিম লেখক হওয়া সত্ত্বেও আতিশ তাসির ভূয়সী প্রশংশা করেছেন নরেন্দ্র মোদীর।
এদিকে প্রচ্ছদ ও নিবন্ধ নিয়ে ইতিমধ্যেই ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। মোদী বিরোধীরা যেমন মনে করছেন, দেশের মানুষের মনের কথাই প্রকাশ করেছে মার্কিন পত্রিকা, একইভাবে মোদী ভক্তরা নেপথ্যে গূঢ় ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছেন।
সাম্প্রতিক ভারতে এই সমস্ত ক্ষেত্রে যা হয়, এবারও তাই হল। নিমেষের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধের লেখক সাংবাদিক আতিশ তাসিরের উইকিপিডিয়া পেজে হানা। আতিশ, পেশায় ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক, কিন্তু উইকিপিডিয়ার ‘এডিট’ অপশন এবং মোদী সমর্থক নেটিজেনদের সৌজন্যে তিনি হয়ে গেলেন কংগ্রেসের জনসংযোগ ম্যানেজার (যদিও বানান ভুল ছিল)! সেই ভ্রান্তি চোখে পড়ায় এখন অবশ্য উইকিপিডিয়ায় শুধরে নেওয়া হয়েছে আতিশ তাসিরের সম্পর্কিত তথ্য।
তিনি লিখেছেন, মোদীর আমলে সংখ্যালঘু, তফসিলি, পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, মুক্তমনারা বারবার আক্রান্ত। সংখ্যাগুরু হিন্দুদের ধর্মীয় সংস্কৃতি সংখ্যালঘুদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে দেশজুড়ে দাঙ্গা, গণপিটুনি, হত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর লেখায় উল্লেখ করেন তাসির। মোদী আমলে সংবাদমাধ্যম স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতে পারছে না, বলেও উক্ত নিবন্ধে অভিযোগ করেছিলেন আতিশ তাসির।
Comments are closed.