বিপুল জয়ের পর প্রথমবার দলের বৈঠকে মমতা, হতে পারে ঘর ওয়াপসি নিয়ে সিদ্ধান্ত
তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর ২ টোয় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে
২ মে একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আর তার ঠিক এক মাস পর ৬ জুন শনিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বরা।
প্রথম বৈঠকটি হবে তৃণমূলের কার্যকরী কমিটির সদস্যদের নিয়ে। তৃণমূল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুর ২ টোয় এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর ঘাসফুল শিবিরের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, পুর প্রশাসক ও দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের প্রধানদের নিয়ে একটি বৈঠক করবে দলীয় নেতৃত্ব। অতিমারী বিধি মেনে দ্বিতীয় মিটিংটি ভার্চুয়ালি হবে বলে খবর।
বহুদিন ধরেই তৃণমূলের একাংশের দাবি একজন ব্যক্তিকে দলে যে কোনও একটি পদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। সূত্রের খবর এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে এক ব্যক্তি এক পদ নীতিতে সিলমোহর দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।
হাওড়া জেলার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অরূপ রায়, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র যেমন রাজ্যের মন্ত্রী আবার জেলা সংগঠনের শীর্ষ পদেও রয়েছেন। এই প্রথা কি ভাঙতে চলেছে?
এছাড়াও এই বৈঠকে দলত্যাগী যে সমস্ত নেতা পুনরায় তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন তাঁদের নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সোনালী গুহ থেকে শুরু করে সরলা মুর্মু, দীপেন্দু বিশ্বাস সকলেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের ফেরার আর্জি জানিয়েছেন। ঘরে ফেরাদের তালিকায় সম্প্রতি মুকুল পুত্রকে নিয়েও জল্পনা চলছে। এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মমতা ব্যানার্জি।
পাশাপাশি জানা যাচ্ছে শনিবারের বৈঠকে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জিকে তৃণমূলে আনুষ্ঠানিক ভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদ দেওয়া হতে পারে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ স্তরে অন্তর্ভুক্তি ঘটতে পারে এক বা একাধিক তরুণ মুখের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, একুশের যুদ্ধ জয়ের শেষে এখন তৃণমূলের পাখির চোখ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। সারা দেশে মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে মমতা ব্যানার্জির নাম উঠে আসছে। সেক্ষেত্রে বড় যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে তৃণমূলের শনিবারের বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল।
Comments are closed.