টোকিও অলিম্পিক ২০২০ থেকে প্রথম দেশ হিসেবে নাম প্রত্যাহার করল কানাডা। বিশ্বজুড়ে প্যান্ডেমিক করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রেক্ষিতে কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটির স্পষ্ট বার্তা, আগে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, পরে বিনোদন।
এদিকে একের পর এক দেশ নাম তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় সংশয়ে টোকিও অলিম্পিক। চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে ৯ অগাস্ট পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিকের যে দিন ঘোষণা হয়েছিল, তা মুলতুবির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOC)।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জানান, উদ্ভুত পরিস্থিতির উপর চোখ রেখে অলিম্পিক পরিচালনার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে ‘কমপ্লিট ফর্ম’-এ না হলে মুলতুবি হতে পারে টোকিও অলিম্পিক। কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষিতে দেশের খেলোয়াড়দের শারীরিক নিরাপত্তাকে কোনও ভাবেই বিপদের মুখে ফেলা যাবে না। মুলতুবি ঘোষণা না হলে নিজেদের দেশের নাম প্রত্যাহার করা হবে বলে জানান কানাডিয়ান অলিম্পিক কমিটির এক সদস্য। এদিকে অস্ট্রেলিয়ান অলিম্পিক কমিটি (AOC) জানিয়েছে, আগামী ২৪ জুলাই অলিম্পিকের কথা ভেবে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করা এখন অসম্ভব। নিউজিল্যান্ড হুঁশিয়ারি দিয়েছে, অলিম্পিক না পিছলে তারা বয়কট করতে বাধ্য হবে। সে দেশের অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট মাইক স্টানলে জানান, খেলাধুলোর জন্য দরকার নিরাপদ ও স্বচ্ছ প্রতিযোগিতার আবহাওয়া। কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যেভাবে উদ্বিগ্ন তাতে টোকিও অলিম্পিকের তারিখ না পিছলে তাঁরা বয়কট করবেন অলিম্পিক।
ব্রাজিল, নরওয়ে ইত্যাদি একাধিক দেশ অলিম্পিক পিছনোর প্রস্তাব দিলেও বয়কটের হুঁশিয়ারি দেয়নি।এদিকে রবিবার আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (IOC) জানিয়েছিল, এখনই টোকিও অলিম্পিক মুলতুবির কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এপ্রিল মাস পর্যন্ত আলোচনার জন্য সময় নেবে তারা। কিন্তু একের পর এক দেশের অলিম্পিক কমিটি যে ভাবে চাপ বাড়াচ্ছে অলিম্পিক পিছনোর জন্য, তাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আইওসি-কে। যার ফলে কার্যত অনিশ্চিত জুলাই মাসে টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ।
Comments are closed.