ফের ত্রিপুরা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বুধবার দেবাংশুদের গাড়ির চালক সুরজিৎ সূত্রধরকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরার পুলিশ। শনিবার দেবাংশুদের উপর হামলার সময় তিনি গাড়ির চালক ছিলেন। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার আরও এক তৃণমূলকর্মীও গ্রেফতার হন। যার জেরে পুনরায় বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য গত শনি ও রবিবারের ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই অভিষেক ব্যানার্জি সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে স্থানীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে অভিযোগ করেন, আমাবাসায় রাতভর স্থানীয় পুলিশ তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে তান্ডব চালিয়েছেন। পুলিশকে বিজেপির দলদাস বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
Tripura: আমবাসা। রাতভর পুলিশি তান্ডব। তৃণমূলের সেদিনের গাড়ির চালকসহ একাধিক গ্রেপ্তার। জয়া, সুদীপ, দেবাংশুসহ সেদিন জামিনপ্রাপ্তদের নতুন করে গ্রেপ্তারের ছক। ইতিমধ্যেই স্থানীয় দুজনের বাড়ি পুলিশ। রাতের অন্ধকারেই বিজেপির দলদাসদের অতিসক্রিয়তা।
ভয় পেয়েছে বিজেপি।— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 12, 2021
এছাড়াও অন্য একটি ট্যুইটে তৃণমূল মুখপাত্র ফের দাবি করেন, এসব ঘটনা থেকেই প্রমাণিত ত্রিপুরায় তৃণমূলকে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, হামলা থেকে মামলা এসব করে তৃণমূলকে ঠেকানো যাবে না।
ট্যুইটে লেখেন, রাতের অন্ধকারে পুলিশের অতিসক্রিয়তা। অন্ধকারের জীবদের মতো আচরণ। ত্রিপুরায় বিজেপি গুন্ডারাজ চালাচ্ছে বলেও তিনি আক্রমণ করেন।
Tripura: আমবাসা। রাতে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হানা। তুলে নিয়ে যাওয়া। অন্ধকারে অতিসক্রিয়তা। অন্ধকারের জীবদের মতো আচরণ। গুন্ডারাজ, পুলিশরাজ দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না।
হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি। pic.twitter.com/d6SUmjeroI— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 12, 2021
শনিবার দেবাংশু, সুদীপ জয়া দত্ত সহ ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্বের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সেখানকার পরিস্থিতি। রবিবার দিনভোর কার্যত খবরের শিরনামে উঠে আসে ত্রিপুরা। আর এই ঘটনার জেরেই বিজেপির নির্দেশে পুলিশ কাজ করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ আইন মেনেই কাজ করছে। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
Comments are closed.