শুক্রবার বাংলার শহরাঞ্চলে চলা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা করতে কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব। কেন্দ্রের স্বচ্ছ ভারত মিশন, নির্মল বাংলা, আম্রুত, হাউজিং ফর অল ইত্যাদি প্রকল্পের কাজের গতি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। কলকাতা পুরসভার ইজ অব ডুয়িং বিজনেস (EODB) সহ বিভিন্ন কাজের অবস্থা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব জানান, সব মিলিয়ে খুব ভালো কাজ হয়েছে কলকাতা পুরসভায়।
এদিকে বেশ কিছু প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের পাওনা রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। হাউজিং ফর অল প্রকল্পে ৪৫০ কোটি টাকা, আম্রুত প্রকল্পে ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতরের অফিসাররা। তা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব জানিয়েছেন, হাউজিং ফর অল প্রকল্পের টাকা শীঘ্রই দিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজ পাঠালে রাজ্যের বকেয়া টাকা দিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে ২০১৯ সালে যখন একই কাজে দুর্গাশঙ্কর রাজ্যে এসেছিলেন, তখন ৫০টি পুরসভা সম্পূর্ণ নির্মল শহর হয়নি। ৫০টি পুরসভা এলাকায় প্রকাশ্য শৌচ কাজ (ওডিএফ) বন্ধ করা যায়নি। এবার অবশ্য তা কমে ১২তে দাঁড়িয়েছে। এক বছরের মধ্যে এই সাফল্য অর্জনে রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কেন্দ্রীয় আমলা। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, আম্রুত প্রকল্পের কাজ বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখে তারও প্রশংসা করেছেন।
হাউজিং ফর অল প্রকল্পের জিও ট্যাগিংয়ে দেশের মধ্যে এক নম্বরে স্থানে বাংলা। একে সাধুবাদ জানান দুর্গাশঙ্কর মিশ্র। বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার হকারদের জন্য যে প্রকল্প রয়েছে, তার কথা তুলে ধরা হয়। জানানো হয় আগামী মার্চ মাসের মধ্যে দেড় লক্ষ হকার উপকৃত হবেন। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় আমলা জানান, সব মিলিয়ে রাজ্যের উন্নয়নের কাজ ভালোই হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা আছে, তা শীঘ্রই সমাধান করতে হবে। এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
Comments are closed.