সোমবার মধ্যরাতে প্রায় সাত ঘণ্টা আলোচনার পর লোকসভায় পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। এর আগে দিনভর বিল নিয়ে উত্তাল ছিল লোকসভা। বিলের বিরোধিতা করে কংগ্রেস, তৃণমূল, ডিএমকে, এনসিপি, সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, মুসলিম লিগ, এমআইএম, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি।
আসুন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, বিরোধীরা কে কী বললেন লোকসভায়
মণীশ তেওয়ারি (কংগ্রেস)
এই বিল অসাংবিধানিক। সংবিধানে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে, তার সম্পূর্ণ বিপরীতে গিয়ে এই বিল আনা হল। একজন মানুষ যখন এই দেশে আসছে, তখন সে শরণার্থী। ধর্মের ভিত্তিতে তাকে কখনও আলাদা করা যায় না। সংবিধানের প্রস্তাবনায় কখনওই ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যের কথা বলা হয়নি।
অধীর চৌধুরী (কংগ্রেস)
কেন্দ্র এমন একটা ভাব করছে, আমরা যেন হিন্দু বিরোধী বলে এই বিলের বিরোধিতা করছি। মোটেই তা নয়। এই বিল অত্যন্ত বৈষম্যমূলক বলে আমাদের বিরোধিতা। সংবিধানের মূল ভিত্তিতেই এই বিল আঘাত হানবে। এটা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার এক পদক্ষেপ। এই বিল সংবিধানের ৫, ১০, ১৪ এবং ১৫ অনুচ্ছেদের বিরোধী।
অভিষেক ব্যানার্জি (তৃণমূল)
স্বামী বিবেকানন্দ, বল্লভভাই প্যাটেল, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখ মনীষী সহিষ্ণুতা ও সব ধর্মকে সত্য বলে মানার যে পথ দেখিয়েছেন, সেটা ঠিক, না কি সংকীর্ণ ধর্ম ও জাতির ভিত্তিতে যে বৈষম্যমূলক বিল আনা হচ্ছে, সেটা ঠিক? আমাদের ভারতের ধারণায় ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে। আপনাদের ভারতের ধারণা সন্দেহে ভরা। আমারা বিশ্বাস করি ভালোবাসা শান্তি ও সম্প্রীতিতে। আপনারা বিশ্বাস করেন গণপিটুনি, ঘৃণা ও হত্যায়। আমরা চেষ্টা করি সকলকে নিয়ে এগোতে। আর আপনারা বিশ্বাস করেন বিভাজনের রাজনীতিতে। তাই এই বিল আনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার এই বিল কিছুতেই মানবে না।
সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি)
এই বিল পাশ হলে দেশের প্রতিটি মুসলমান নিজেকে নিরাপত্তাহীন বলে মনে করবে। প্রতিটি মুহূর্তে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে।
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (এআইএমআইএম)
এ দেশের মুসলিমদের রাষ্ট্রহীন করে দেওয়ার উদ্দেশেই এই বিল আনা হল। এর ফলে দ্বিতীয়বার ভারত ভাগ হবে।
Comments are closed.