গত প্রায় ন’মাস ধরে সারা বিশ্বে ত্রাস সৃষ্টি করেছে একটি মারণ ভাইরাস। কবে আসবে তার প্রতিষেধক, কবেই বা স্তিমিত হবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ, সারা বিশ্ববাসী চেয়ে আছে এই প্রশ্নের জবাবের দিকে। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়ুসুস শুক্রবার ঘোষণা করলেন, WHO মনে করছে করোনার প্রকোপ কমতে অন্তত দু’বছর সময় লাগবে! ১৯১৮ সালে গোটা বিশ্বে ত্রাস ছড়িয়েছিল স্প্যানিশ ফ্লু। তার স্থায়িত্বও ছিল প্রায় দু’বছর।
স্প্যানিশ ফ্লুয়ের স্থায়িত্বের সঙ্গে করোনার তুলনা টেনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, ‘হু’ মনে করছে, এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপ আগামী দু’বছরে কমতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের কথায়, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে জনঘনত্ব এবং জনসংযোগ অনেক বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। একজন থেকে আরেকজনের শরীরে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটছে। তবে আমাদের কাছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আছে। যা আমাদের সংক্রমণকে রুখতে সাহায্য করছে। আশা করছি, আগামী দু’বছরের মধ্যে সংক্রমণ কমে যাবে।’’
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুয়ের মতো করোনা ভ্যাকসিনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হবে না বলে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বছর ডিসেম্বরে চিনের উহানে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তারপর ক্রমশ তা গ্রাস করে গোটা বিশ্বকে। স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জনজীবন। চিন, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেন, রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারত, আমেরিকা, একের পর এক দেশ করোনার গ্রাসে এসেছে। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। সারা বিশ্বে করোনা প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়েছে।
WHO এর এমার্জেন্সি চিফ মাইকেল রিয়ানের কথায়, সারা বিশ্বে তিনবার করোনা সংক্রমণের ঢেউ ছড়িয়েছে। একটা সময়ের পর প্যান্ডেমিক ভাইরাস সাধারণ সিজিন্যাল ভাইরাসে পরিণত হয়। কিন্তু করোনার ক্ষেত্রে এখনও তেমন ইঙ্গিত মেলেনি। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে কম করে আরও দু’বছর বজায় থাকবে করোনার প্রকোপ।
Comments are closed.