তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলা দায়ের করল জি মিডিয়া কর্পোরেশন লিমিটেড। অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ জি মিডিয়াকে ‘চোর’ ও ‘পেইড নিউজ চ্যানেল’ বলে মন্তব্য করেছেন। জি নিউজের তরফে এডিটর ইন চিফ সুধীর চৌধুরী এই মামলা দায়ের করেছেন।
শুক্রবার দিল্লির অতিরিক্ত মুখ্য নগর দায়রা বিচারক সমর বিশালের এজলাসে সুধীর চৌধুরীর তরফে আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল একটি ভিডিও ক্লিপ দেখান। সেখানে জি নিউজকে ‘চোর’ ও ‘পেইড নিউজ’ বলে মন্তব্য করতে শোনা যায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদকে। শুধু তাই নয়, মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জি নিউজের মালিককে ‘চোর’ এবং সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সঙ্গে যুক্তদের ‘অশিক্ষিত’ ও ‘বোকা’ বলে সম্বোধন করেছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১ লা অগাস্ট ।
এর আগে জি নিউজের সুধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। গত ২৫ শে জুন লোকসভায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের প্রথম ভাষণ নিয়ে জি নিউজ বনাম মহুয়া মৈত্রর বিতর্কের সুত্রপাত। জি নিউজের এক্সিকিউটিভ এডিটর সুধীর চৌধুরী দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রের প্রথম ভাষণ মৌলিক ছিল না, একটি বিদেশি প্রতিবেদন থেকে হুবহু টোকা হয়েছে। ট্যুইট করে এই দাবি করার পাশাপাশি, একটি মার্কিন প্রতিবেদন থেকে নকল করা প্রতিবেদনকে কীভাবে মহুয়া নিজের বলে চালিয়েছেন, তা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানও সম্প্রচার করেন সুধীর চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ এতে সংসদের গরিমা খর্ব হয়েছে। অন্যদিকে, সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দাবি, তাঁর বক্তব্য কোথা থেকে অনুপ্রাণিত তা লোকসভার বক্তৃতার প্রথমেই তিনি জানিয়েছিলেন। আমেরিকার হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে থাকা গণহত্যা সংক্রান্ত পোস্টার থেকে অনুপ্রাণিত বলে জানান তিনি। এই পোস্টারটিতে ফ্যাসিবাদের ১৪ টি লক্ষণের কথা বলা হয়েছে। মহুয়া মৈত্র তার মধ্যে থেকে ৭টি লক্ষণ বেছে নিয়ে ভারতের ক্ষেত্রে তার প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করেছেন৷
ঘটনাক্রমে, মূলত জি নিউজকে উদ্দেশ্য করে মহুয়া মৈত্রের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, যাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য পরিবেশন করেন, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত। এরপরেই তৃণমূল সাংসদ জি নিউজের এক্সিকিউটিভ এডিটর সুধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন।
Comments are closed.