সংসদে আগেই জানিয়েছিলেন, এবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও এনআরসি হচ্ছেই বলে সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আরও নির্দিষ্ট করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জানালেন, সারা দেশে ২০২৪ সালের মধ্যেই নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা হবে। ভারতে ঢোকা প্রত্যেক অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হবে।
গোড়া থেকেই এনআরসির বিরোধিতা করে আসছেন রাহুল গান্ধী থেকে মমতা ব্যানার্জিরা। এমনকী সদ্য এনআরসি হওয়া অসমের বিজেপি নেতারাই এই প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও তাতে দমছেন না অমিত শাহরা। যেনতেন প্রকারে দেশ জুড়ে এনআরসি করার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। ঝাড়খণ্ড থেকে রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, ”রাহুলবাবা বলেন, ওদের তাড়াবেন না, ওরা কোথায় যাবে? কী খাবে?” অমিতের কটাক্ষ, অনুপ্রবেশকারীরা কি রাহুলের খুড়তুতো ভাই? বিজেপি সভাপতির ঘোষণা, নিশ্চিত থাকুন ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে সব অনুপ্রবেশকারীকে চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ দখলের লক্ষ্যে বিজেপি বলতে শুরু করেছিল এবার লক্ষ্য বাংলা। অন্যদিকে, এনআরসির তীব্র বিরোধিতা করে মমতা ব্যানার্জি জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই তাঁরা বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না। সম্প্রতি তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমুলের কাছে বিজেপির পর্যুদস্ত হওয়ার বড় কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞদের কাছে উঠে এসেছে এনআরসি ইস্যু। মচকালেও তাতে ভাঙছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কয়েকদিন আগে সংসদে মমতার এনআরসি নিয়ে অবস্থান ও যুক্তি খারিজ করে অমিত মন্তব্য করেছিলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূল নেত্রী হিসেবে মমতা যে কোনও অবস্থান নিতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে তিনি পরিষ্কার করছেন, শুধু বাংলা নয় প্রত্যেক রাজ্যেই এনআরসি হবে।
নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অমিত শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, এ সব বিজেপির রাজনৈতিক স্লোগান। পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি নিয়ে তাঁদের অবস্থান বহু আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Comments are closed.