বুথফেরত সমীক্ষাই সত্যি হল। মহারাষ্ট্রের পর বিজেপি ধাক্কা খেল ঝাড়খণ্ডেও। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), কংগ্রেস ও আরজেডি জোটের কাছে হারল ক্ষমতাসীন বিজেপি। সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, জেএমএম ও কংগ্রেস জোটের ঝুলিতে আসছে ৪২ টি আসন। এদিকে মাত্র ২৫ টি আসনে আটকে গিয়েছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ম্যাজিক সংখ্যা ৪১। মোট ২৫ টি আসনে এগিয়ে আছে জেএমএম এবং ৩ টি আসনে জয় পেয়েছে। ঝাড়খণ্ডে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেস একটি আসনে জয় পেয়ে গিয়েছে। এগিয়ে রয়েছে ১৩ টি আসনে। অন্যদিকে গত বিধানসভা ভোটে জয় পাওয়া বিজেপি ৩ টি আসনে জয় পেয়েছে, এগিয়ে ২৫ টি আসনে।
জয়ের গন্ধ পাওয়া কংগ্রেস-জেএমএম জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হেমন্ত সোরেনকে সাইকেল নিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে সোমবার গণনা চলাকালীন। হাল্কা মেজাজে ঝাড়খণ্ডের হবু মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছে সংবাদমাধ্যম। তিনি কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদবকে অভিনন্দন জানান। বাবা শিবু সোরেনের পায়ে হাত দিতে নমস্কার করে আশীর্বাদ চান।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্পষ্ট হতেই ট্যুইট করে কংগ্রেস জোটকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, জেএমএম ও কংগ্রেস জোটকে জয়ের জন্য অভিনন্দন। জেএমএম-কংগ্রেস জোটের হবু মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-কে উদ্দেশ্য করে মমতা জানান, ঝাড়খণ্ডের মানুষ তাঁদের আকাঙ্খা পূরণের ভার আপনাদের হাতে দিলেন। তৃণমূল নেত্রী আরও লেখেন, এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আবহে ঝাড়খণ্ডে ভোট হয়েছে। জনগণের এই রায়ে আসলে নাগরিকরাই জিতলেন। মমতার শুভেচ্ছা বার্তার প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেননি হেমন্ত। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ দিদি।
হেমন্তকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্যুইট করেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
গত মাসেই শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেস্তে যাওয়ায় মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। গত বছর হিন্দি বলয়ের মধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে কংগ্রেসের কাছে পরাজিত হয়েছে গেরুয়া শিবির। এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন যখন দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন চলছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে, সেই সময় ঝাড়খণ্ড -ও হাতছাড়া হল বিজেপির।
Comments are closed.