Indian National Congress President List: কারা ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি, সুপ্রাচীন দলের এই হাল কেন?
গেরুয়া ঝড়ের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। কিন্তু বিধায়ক ভাঙিয়ে কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেসের সরকার ফেলে গেরুয়া শাসন প্রতিষ্ঠা করছে মোদী-শাহ জুটি। প্রশ্ন উঠেছে, এর পর কি এই জুটির টার্গেট মরুরাজ্য রাজস্থান। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবারই প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ট্যুইট করে লিখেছেন, আপনারা কেবল কংগ্রেস শাসিত নির্বাচিত সরকারগুলি ভাঙতে ব্যস্ত। অথচ অবাক করার মতো ঘটনা হল, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যখন কমছে, তখন দেশে তেলের দাম কমছে না। সাধারণ মানুষ কোনও সুফল পাচ্ছে না। এদিকে আপনাদের কোনও নজর নেই।
দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রবীণ বনাম নবীন নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব এখন প্রকট, ঠিক যেমন ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে হয়েছিল। তবে পার্থক্য এটাই, সনিয়া গান্ধীর সভাপতিত্বে কংগ্রেসের প্রবীণের উপরই বেশি আস্থা রাখছে কংগ্রেস। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কংগ্রেসের সুদীর্ঘ ইতিহাসে কারা কারা হয়েছিলেন congress president।
কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি (First President of INC)
১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের (আইএনসি) প্রতিষ্ঠা হয় তৎকালীন বম্বেতে। প্রথমে কিন্তু কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেনি। কোনও সংজ্ঞায়িত মতবাদ, অর্থানুকূল্য থেকে সদস্যভুক্তির নিয়মকানুন ছিল না। থিওজোফিক্যাল সোসাইটির কিছু সভ্য – অ্যালান অক্টোভিয়ান হিউম, দাদাভাই নওরোজি, উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, মহাদেব গোবিন্দ রানাডে প্রমুখ একত্রিত হয়ে এর প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি হন বিশিষ্ট বাঙালি আইনজীবী উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিটিশ শাসনে বিখ্যাত ব্যারিস্টার স্যার চার্লস পল, জে পি কেনেডি প্রমুখের পৃষ্ঠপোষকতা পান তিনি।
জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার পর প্রথম এবং অষ্টম সভাপতি হন দক্ষিণ কলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করা এই বাঙালি ব্যারিস্টার। তবে ১৮৮৫ সাল থেকে ১৯৩৩ সাল পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট একবছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন তিনি। সে সময় কংগ্রেস সভাপতি করা হত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। রাজনীতিতে প্রবল উৎসাহী উমেশচন্দ্র ১৮৯৮ সালে লিবারেল দলের প্রার্থী হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অফ কমন্সের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। দীর্ঘ কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর আদ্যন্ত উদারনৈতিক, স্ত্রী-শিক্ষায় প্রবল উৎসাহী এবং আনুষ্ঠানিক ধর্ম, সংস্কারে আস্থা হারানো উমেশচন্দ্র শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন লন্ডনে। সেখানেই ১৯০৬ সালে মারা যান।
দাদাভাই নওরোজি
১৮৮৬ সালে কলকাতার কংগ্রেস অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা দাদাভাই নওরোজি। পরে ১৮৯৩ সালে লাহোর অধিবেশনেও তাঁর সভাপতিত্বে অধিবেশন হয়। জন্মসূত্রে পারসিক এই মানুষটি একাধারে ছিলেন বিদ্বান, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী, অন্যদিকে সফল ব্যবসায়ী।
এর মধ্যে ১৮৮৭ সালে কংগ্রেসের মাদ্রাজ অধিবেশনে বদরুদ্দিন তৈয়বজি, ‘৮৮ সালে এলাহাবাদ অধিবেশনে জর্জ ইউলে সভাপতিত্ব করেন। তিনি ছিলেন জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম ব্রিটিশ সভাপতি। এরপর ১৮৮৯ সালে বম্বে অধিবেশন এবং ১৯১০ সালের এলাহাবাদ অধিবেশনের সভাপতি হন উইলিয়াম উইডারবার্ন। ১৮৯০ সালে কলকাতা অধিবেশনে সভাপতি হন নাইট উপাধি বম্বে প্রেসিডেন্সির প্রখ্যাত আইনজীবী ফিরোজশাহ মেহতা। এরপর এ কে আনন্দাচারলু (১৮৯১), অ্যাক্লফ্রেড ওয়েব (১৮৯৪), রহিমাতুল্লা এম সায়ানি (১৮৯৬), সি শঙ্করণ নায়ার (১৮৯৭), আনন্দমোহন বসু (১৮৯৮) রমেশ চন্দ্র দত্ত (১৮৯৯), স্যার নারায়ণ গণেশ চন্দাভারকর (১৯০০), লালমোহন ঘোষ (১৯০৪) কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন।
গোপাল কৃষ্ণ গোখলে
এরপর ১৯০৫ সালে জাতীয় কংগ্রেস নরমপন্থী ও চরমপন্থীতে ভাগ হয়ে যায়। নরমপন্থী কংগ্রেসের বেনারস অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন গোপালকৃষ্ণ গোখলে। ভারতে ফিরে আসার পর মহাত্মা গান্ধী গোখলের গোষ্ঠীতে যোগ দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যান।
রাসবিহারী ঘোষ ১৯০৭ সালের সুরাত অধিবেশন এবং ১৯০৮ সালের মাদ্রাজ অধিবেশনে জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন রাসবিহারী ঘোষ। একাধারে রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সমাজকর্মী রাসবিহারী ঘোষ চরমপন্থার তীব্র বিরোধী ছিলেন।
পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য
১৯০৯ সালের লাহোর অধিবেশন এবং ১৯১৮ সালের দিল্লি অধিবেশনে সভাপতি হন পণ্ডিত মদন মোহন মালব্য। শিক্ষাবিদ মদন মোহন প্রতিষ্ঠা করেন এশিয়ার দীর্ঘতম আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘মহামনা’ উপাধি দেন। মরণোত্তর ভারতরত্নে ভূষিত হন তিনি।
এরপর কংগ্রেসের দীর্ঘ ইতিহাসে সভাপতিত্ব করেছেন রাও বাহাদুর রঘুনাথ নরসিংহ মুধলকর (১৯১২), নবাব সইদ মহম্মদ বাহাদুর (১৯১৩), ভূপেন্দ্রনাথ বসু (১৯১৪), লর্ড সত্যেন্দ্র প্রসন্ন সিংহ (১৯১৫), অম্বিকা চরণ মজুমদার (১৯১৬), অ্যানি বেসান্ত (১৯১৭), সইদ হাসান ইমাম (১৯১৮) প্রমুখ।
গান্ধী পরিবারের হাতে কংগ্রেস সভাপতিত্বের রাশ
স্বাধীনতা আন্দোলনে ধীরে ধীরে যখন দৃঢ় ভূমিকা নিচ্ছে জাতীয় কংগ্রেস, সেই সময় থেকে দলের সভাপতিত্বের দায়িত্ব উঠে আসে নেহরু-গান্ধীদের উপর। চিত্তরঞ্জন দাশ, লালা লাজপৎ রায়, আব্দুল কালাম আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রমুখ বিশিষ্ট নেতার হাতে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব উঠে এলেও স্বাধীনতার ২০ বছর আগে থেকে মূলত নেহরু-গান্ধী পরিবারের বড় প্রভাব থেকেছে কংগ্রেসে।
মতিলাল নেহরু
১৯১৯ সালে অমৃতসর অধিবেশনে প্রথমবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি (first INC president from Nehru/Gandhi family) হন মতিলাল নেহরু। এরপর ১৯২৮ সালে কলকাতা অধিবেশনেও তিনিই সভাপতি হয়েছিলেন। তাঁর দ্বিতীয়বার সভাপতি হওয়ার সময় দলের মধ্যে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়। একদল ছিল চরমপন্থার দ্বারা ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়ার পক্ষে। আর মতিলাল নেহরুরা ছিলেন নরমপন্থীর দলে। সত্যাগ্রহ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন ইত্যাদিতে বড় ভূমিকা নেওয়া মতিলাল মহাত্মা গান্ধীর যতটা কাছের ছিলেন, ঠিক ততখানি আবার গান্ধীর বিভিন্ন মতের সমালোচনাও করেছেন।
মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী
১৯২৪ সালে বেলগাঁও অধিবেশনে কংগ্রেস সভাপতি হন গান্ধীজি। তাঁর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন, ডান্ডি অভিযান, ভারত ছাড়ো আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা নেয়। অহিংসা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, স্বরাজ ও সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের প্রতি তাঁর মানবিক ভাবমূর্তি দেশের মানুষের কাছে তাঁকে ‘নেতা’ করে তোলে। তিনি হয়ে ওঠেন ‘মহাত্মা’।
জওহরলাল নেহরু
১৯২৯ সালে লাহোর অধিবেশনে প্রথমবার জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন জওহরলাল নেহরু। এরপর ১৯৩০ সালে করাচি অধিবেশন, ‘৩৬ সালে লখনউ অধিবেশন, ‘৩৭ সালে ফৈজাবাদ অধিবেশনে পরপর সভাপতি হন জওহরলাল নেহরু। স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে দিল্লি এবং ১৯৫২ সালে কলকাতা অধিবেশনেও তিনিই সভাপতি নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে কংগ্রেসের নির্বাচিত সভাপতি না হওয়া সত্ত্বেও মতিলাল নেহরুর প্রভাবেই শেষপর্যন্ত তিনি সভাপতি হন। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ও ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব নেহরু স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন। কাশ্মীরী পণ্ডিত সম্প্রদায়ের লোক বলে তাঁকে ‘পণ্ডিত নেহরু’ বলে অভিহিত করা হয়।
ইন্দিরা গান্ধী
জওহরলাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী অবশ্য দেশের রাজনীতি, দলীয় রাজনীতি বুঝতে একটু সময় নিয়েছিলেন। তবে ক্রমশ দেশের রাজনীতিতে তাঁর দৃঢ় প্রভাব পড়তে থাকে। ১৯৫৯ সালে দিল্লির বিশেষ অধিবেশনে প্রথম জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন ইন্দিরা। এরপর জাতীয় কংগ্রেস ভাঙনের পর ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮৪ সালে মৃত্যুর দিন পর্যন্ত কংগ্রেসের সভাপতির পদে থেকেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জরুরি অবস্থা, পাকিস্তান যুদ্ধ, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, স্বর্ণমন্দিরে অভিযান চালানোর মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। আবার তাঁর আমলেই ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ হয়েছে।
রাজীব গান্ধী
ইন্দিরা হত্যার পর যেন আচমকাই রাজনীতিতে এসে পড়েন পুত্র রাজীব গান্ধী। ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হন তিনি। মায়ের মতোই ১৯৯১ সালে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত দলের সভাপতি ছিলেন গান্ধী পরিবার থেকে উঠে আসা আর এক প্রধানমন্ত্রী। মাত্র ৪০ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রেকর্ড রাজীব গান্ধীর। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা, শাহ বানো কেস, বোফর্স কেলেঙ্কারির মতো একাধিক বিতর্কিত বিষয় ১৯৮৯ সালে জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয়ের কারণ বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল।
পি ভি নরসিংহ রাও
রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর কে কংগ্রেসের হাল ধরবেন, কে-ই বা প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে বেশ বেগ পেতে হয় কংগ্রেসকে। সেই সময়ে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন পি ভি নরসিংহ রাও উঠে আসেন কংগ্রেস সভাপতির আসনে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন নরসিংহ রাও। দক্ষিণ ভারত থেকে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়া পি ভি নরসিংহ রাওয়ের তত্ত্বাবধানে ভারতে উদার অর্থনীতির উন্মেষ হয়।
সীতারাম কেশরী
স্বাধীন ভারতে কংগ্রেসের অন্দরে সবচেয়ে বিতর্কিত সভাপতি ছিলেন সীতারাম কেশরী। ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতির পদে ছিলেন তিনি। তাঁর সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে মতভেদ শুরু হয়। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের সংগঠন ভেঙে পড়ে। কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়ে মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন।
সনিয়া গান্ধী (Longest Serving President of INC)
জন্মসূত্রে ইতালীয় সনিয়া রাজীব গান্ধীকে বিয়ে করে নেহরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য হয়ে আসেন। কংগ্রেসের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সভানেত্রী থেকেছেন। ১৯৯৭ সালে কংগ্রেসের সাধারণ সদস্য থেকে ১৯৯৮ সালে দলের জাতীয় সভানেত্রী হন সনিয়া। স্বামী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের পর কংগ্রেস দলের রাশ যায় তাঁর হাতে। ১৯৯৮ সাল দীর্ঘ সাত বছর সভানেত্রী ছিলেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর সময়েই প্রথমবার দেশে ক্ষমতায় উঠে আসে বিজেপি। যদিও ২০০৪ ও ২০০৯ সালে পরপর কংগ্রেসের জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা ছিল সনিয়া গান্ধীর।
রাহুল গান্ধী
২০১৭ সালে সনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে কংগ্রেস সভাপতি পদের ভার যায় পুত্র রাহুল গান্ধীর উপর। গান্ধী পরিবারের ষষ্ঠ কংগ্রেস সভাপতি তিনি। কেন্দ্রে বিজেপি শাসনের মধ্যে ২০১৮ সালে হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের জন্য রাহুল গান্ধীকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। যদিও ২০১৯ লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর হারের দায় নিজের ঘাড়ে নিয়ে সভাপতিত্ব ছাড়েন রাহুল গান্ধী। ফের কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর দায়িত্ব নেন সনিয়া।
একে একে নিভিছে দেউটি, কংগ্রেস দিশাহারা
Sl No. | President | Tenure |
---|---|---|
1 | Womesh Chandra Banerjee | 1885 & 1892 |
2 | Dadabhai Naoroji | 1886, 1893 & 1906 |
3 | Badruddin Tyabji | 1887 |
4 | George Yule | 1888 |
5 | William Wedderburn | 1889 & 1910 |
6 | Pherozeshah Mehta | 1890 |
7 | Anandacharlu | 1891 |
8 | Alfred Webb | 1894 |
9 | Surendranath Banerjee | 1895 & 1902 |
10 | Rahimtulla M. Sayani | 1896 |
11 | C. Sankaran Nair | 1897 |
12 | Anandamohan Bose | 1898 |
13 | Romesh Chunder Dutt | 1899 |
14 | N. G. Chandavarkar | 1900 |
15 | Dinshaw Edulji Wacha | 1901 |
16 | Lalmohan Ghosh | 1903 |
17 | Henry Cotton | 1904 |
18 | Gopal Krishna Gokhale | 1905 |
19 | Rashbihari Ghosh | 1907 – 08 |
20 | Madan Mohan Malaviya | 1909, 1918 & 1932 |
21 | Bishan Narayan Dar | 1911 |
22 | Raghunath Narasinha Mudholkar | 1912 |
23 | Nawab Syed Muhammad Bahadur | 1913 |
24 | Bhupendra Nath Bose | 1914 |
25 | Satyendra Prasanna Sinha | 1915 |
26 | Ambica Charan Mazumdar | 1916 |
27 | Annie Besant | 1917 |
28 | Syed Hasan Imam | 1918 |
29 | Motilal Nehru | 1919 & 1928 |
30 | Lala Lajpat Rai | 1920 |
31 | C. Vijayaraghavachariar | 1920 |
32 | Chittaranjan Das (President) | 1921 |
33 | Hakim Ajmal Khan (Acting President) | 1921 |
34 | Chittaranjan Das | 1922 |
35 | Mohammad Ali Jouhar | 1923 |
36 | Abul Kalam Azad | 1923 & 1940–45 |
37 | Mahatma Gandhi | 1924 |
38 | Sarojini Naidu | 1925 |
39 | S. Srinivasa Iyengar | 1926 |
40 | Mukhtar Ahmed Ansari | 1927 |
41 | Jawaharlal Nehru | 1929 – 30, 1936 – 37, 1951 – 54 |
42 | Vallabhbhai Patel | 1931 |
43 | Nellie Sengupta | 1933 |
44 | Rajendra Prasad | 1934 & 35 |
45 | Subhas Chandra Bose | 1938-39 |
46 | Rajendra Prasad replaced Bose after the session. | 1939 |
47 | J. B. Kripalani | 1946-47 |
48 | Pattabhi Sitaraimayya | 1948 & 49 |
49 | Purushottam Das Tandon | 1950 |
50 | U. N. Dhebar | 1955 – 59 |
51 | Indira Gandhi | 1959, 1978 – 84 |
52 | Neelam Sanjiva Reddy | 1960 – 63 |
53 | K. Kamaraj | 1964 – 67 |
54 | S. Nijalingappa | 1968–1969 |
55 | Jagjivan Ram | 1970 & 71 |
56 | Shankar Dayal Sharma | 1972–74 |
57 | Devakanta Barua | 1975–77 |
58 | Kasu Brahmananda Reddy | 1977–1978 |
59 | Rajiv Gandhi | 1985–91 |
60 | P. V. Narasimha Rao | 1991–96 |
61 | Sitaram Kesri | 1996–98 |
62 | Sonia Gandhi | 1998–2017 & 2019 – counting |
63 | Rahul Gandhi | 2017–2019 |
Presidents from Gandhi/Nehru Family
Sl No | President | Tenure | Remark |
1 | Motilal Nehru | 19,191,928 | The first president from Nehru/Gandhi family |
2 | Mahatma Gandhi | 1924 | Was elected president on the people’s choice. |
3 | Jawaharlal Nehru | 1929 – 30, 1936 – 37, 1951 – 54 | First and the longest servicing PM of India. |
4 | Indira Gandhi | 1959, 1978 – 84 | The first and only woman PM of India. |
5 | Rajiv Gandhi | 1985–91 | 6th prime minister of India. |
6 | Sonia Gandhi | 1998–2017 & 2019 – counting | Longest serving president of INC. |
7 | Rahul Gandhi | 2017–2019 | The last name to include in this list. |
Comments are closed.