করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গোটা দেশ। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ও সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছে জেআইএস গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস।
এই কঠিন সময়ে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াতে, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সাফাইকর্মী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীরা এই কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় নিজেদের জীবন বিপন্ন করে লড়াই করে চলেছেন, তাঁদের সাহায্যার্থে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ইমারজেন্সি রিলিফ ফান্ডে ২.৫১ কোটি টাকা দিয়েছে জেআইএস গ্রুপ।
এছাড়াও এই মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হতে জেআইএস গ্রুপের বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্য শিক্ষাকর্মীরা মিলে তৈরি করেছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এর মধ্যে অন্যতম জেআইএস ইউনিভার্সিটি, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসিউটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি, গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলোজি ও জেআইএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং। তৈরি হওয়া এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলি বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।
এছাড়াও, এই লকডাউনের জেরে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনও রকমের কোন অসুবিধের মধ্যে পড়তে না হয়, তাঁর জন্য গুগল ক্লাসরুম বা জুম-এর মত বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের সাহায্যে ক্লাসেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে জেআইএস গ্রুপের তরফ থেকে। ছাত্ররা যাতে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে ও সময়মতো তাঁদের অ্যাসাইনমেন্ট অনলাইনে জমা করতে পারে তাঁর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে জেআইএস গ্রুপ।
জেআইএস গ্রুপের কর্ণধার সর্দার তরণজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, এই কঠিন সময়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অবিভাবকদের মনোবল দৃঢ় রাখতে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকারের পাশে দাঁড়াতেও তাঁরা বদ্ধপরিকর। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় যেভাবে সংস্থার কর্মীরা উদ্যোগী হয়েছেন তার জন্য তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
অনলাইন ক্লাস ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ওয়েবিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে জেআইএস গ্রুপের পক্ষ থেকে। এই ওয়েবিনারের মাধ্যমে এক দিকে যেমন করোনা মোকাবিলার পদ্ধতি বাতলে দেওয়া হচ্ছে, তেমনই এক্সপার্টদের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়, যেমন আইটি, সিএসই, ইলেকট্রিকাল, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল, অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড টেকনোলোজি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের মনোবল বাড়াতে জেআইএস গ্রুপের বিভিন্ন কলেজ অনলাইনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেছে, যেখানে পড়ুয়ারা নিজেদের বাড়িতে বসে বিভিন্ন ধরনের গান ও নাচ প্রদর্শনের মাধ্যমে এই দুর্যোগের সময়ও সকলকে এক খুশির বাতাবরণ উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে।
এই লকডাউনের মধ্যেও গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ ডেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড রিসার্চ সমাজের জন্য তাঁদের জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রেখেছে। এছাড়াও বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কিছু প্রাক্তনীও এই কঠিন সময়ে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে এই করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করে যাচ্ছেন।
ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে সমস্ত ছাত্রছাত্রী ও অবিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং যেভাবে সম্ভব সেইভাবেই ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হছে।
Comments are closed.