করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউনে যেখানে থমকে রয়েছে গোটা বিশ্ব, সেখানে অনলাইনের মাধ্যমে নিজেদের কাজের নিরিখে এবার বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা পেল জেআইএস গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউশনস-এর গুরু নানক ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলোজি (জিএনআইটি)। অনলাইন ক্লাস ও ওয়েবিনারের মাধ্যমে এই লকডাউনের মধ্যেও এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এহেন উদ্যোগ ভয়েস অফ আমেরিকা সহ দেশ-বিদেশের অনেক সংস্থার প্রশংসা কুড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী গোটা দেশে লডাউন ঘোষণা করার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকেই নিজস্ব ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মাই পারফেক্টিস হোয়াইটবোর্ডে কলেজের ডিজিটাল ক্লাস নেওয়া চালু করে জিএনআইটি। গত ২০ মার্চ কোভিড-১৯ এর উপর একটি মেগা সেমিনারেরও আয়োজন করা হয় কলেজের পক্ষ থেকে। নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে আয়োজিত এই ওয়েবিনারের নাম রাখা হয়, ‘দ্য আউটব্রেক অফ কোভিড-১৯ আউটব্রেকস দ্য ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন।
এই লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে হাজার হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যায় এই ওয়েবিনার এবং ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয় তা। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিগত এক মাসে আরও ১২ টি ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবিনার সহ মোট ৪৬ টি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে।
কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ শান্তনু সেন জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে যে অনলাইন ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছিল, সেখানেও ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এই অনলাইন ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার প্রায় ৯০ শতাংশ বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যেই গত ২৬ মার্চ ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার মূল্যের ‘কোভিড-১৯ হ্যাকাথন’ এর আয়োজন করা হয় জিএনআইটির পক্ষ থেকে। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে কোভিড-১৯ প্রতিহত করার প্রায় ১৭৩ টি প্রোজেক্ট জমা পড়েছে বলে দাবি কলেজের।
এছাড়াও ডিজিটাল কালচারাল নাইট সহ একটি অনলাইন মিডিয়া ফেস্টেরও আয়োজন করা হয়েছে কলেজের পক্ষ থেকে। এই কালচারাল নাইটে কলেজের সমস্ত কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এছাড়াও এই মহামারির মধ্যেও কলেজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের প্রায় ১,৩৭৩ জন ছাত্রছাত্রী তাঁদের বাড়ি থেকে অনলাইন ইন্টার্নশিপের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স বাড়াতে পারবে, তেমনই অন্যদিকে ঘরে বসেই টাকা রোজগারও করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ডঃ সেন।
Comments are closed.