গত দুই সপ্তাহে এই প্রথম অ্যাক্টিভ করোনাভাইরাস কেসে হ্রাসের কথা জানিয়েছে ভারত। মোট করোনা সংক্রমিতের মাত্র ১৩ শতাংশ রোগী এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রায় ২৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত দু’সপ্তাহ আগে যে সংখ্যক অ্যাক্টিভ করোনা কেস ছিল তা অনেকটাই কমেছে। এর মধ্যেও চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরল।
দেশের মধ্যে প্রথম করোনা সংক্রমিত চিহ্নিত হয়েছিল এই রাজ্য থেকেই। আবার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনেও যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখিয়েছে কেরলের বাম সরকার। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৯২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দেশের মোট করোনা সংক্রমিতের প্রায় এক দশমাংশ। যা যথেষ্ট উদ্বেগের।
মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকে এর চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সংক্রমিত হলেও সেখানে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
গত এক সপ্তাহ ধরে কেরলের আট জেলায় করোনা সংক্রমণ বিশেষ বৃদ্ধি পেয়েছে। howindialives.com এর তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের মোট ১৪ টি জেলায় গড়ে ২০ শতাংশ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টিং এর হার সর্বোচ্চ কেরলেই। শেষ দুই সপ্তাহে পিনারাই বিজয়নের রাজ্যে ৮ লক্ষ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
কেরলের পরে যে রাজ্য নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, তা হল কর্ণাটক। গত জুলাই মাসে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড়ো করোনা হটস্পট ছিল দক্ষিণের এই রাজ্য। গত সাতদিনে সেখানে আবার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে সংক্রমণ হার কমলেও করোনায় মৃত্যুহার চিন্তায় ফেলেছে ছত্তিসগঢ়কে। এছাড়া অসম ও কেরলের মৃত্যু হার নিয়েও মাথাব্যথা বাড়ছে প্রশাসনের। গত সাতদিনে জাতীয় ও রাজ্যভিত্তিক করোনা পরিস্থিতির উপর নজর দিয়ে এই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। গত এক সপ্তাহে করোনা সম্পর্কিত মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৮ শতাংশ।
Comments are closed.