মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনের পাশাপাশি এবার ধনখড়ের নিশানায় প্রশান্ত কিশোর! অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরে সরব রাজ্যপাল

রাজ্যপালের নিশানায় প্রশান্ত কিশোর। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, রাজ্যে ক্ষমতার অলিন্দ দখল করে নিয়েছে বাংলার রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন কিছু লোক। কার কথা বললেন রাজ্যপাল ধনখড়?

এর আগে বিভিন্ন সময় আই প্যাক কর্ণধার প্রশান্ত কিশোরের নাম শোনা গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধীদের গলায়। এবার সেই সুর উঠে এল রাজ্যপালের গলাতেও। নাম না করে কী অভিযোগ করলেন জগদীপ ধনখড়? তাঁর অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনকে এখন বকলমে চালাচ্ছেন বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন কিছু মানুষ। কেন এই কথা বললেন তিনি? নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের চাপানউতোর দেখেছেন রাজ্যবাসী। এবার প্রশাসনিক সদর নবান্নের নিয়ন্ত্রণ প্রশান্ত কিশোরের হাতে আছে বলে ইঙ্গিত করে তিনি কী বোঝাতে চাইলেন?

মেঘালয়ের রাজ্যপালের মেয়াদ শেষে বাংলায় ফিরে সম্প্রতি বিজেপিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন তথাগত রায়। তাঁরও অভিযোগের তির বারবার ছুটেছে আই প্যাকের কর্ণধারের উদ্দেশে। কখনও তথাগত পন্থী সাজিয়ে বিজেপি পার্টি অফিসে ভাঙচুর, আবার কখনও দিলীপ ঘোষের সামনে তথাগতর নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বিক্ষোভ, সবই নাকি হচ্ছে পিকের নির্দেশে। আসল উদ্দেশ্য বিজেপিতে ডামাডোল লাগানো। এবার সেই কাঁপুনি কি পৌঁছে গেল রাজভবনেও? প্রশ্ন এক তৃণমূল নেতার। তিনি বলছেন, না হলে এত কিছু থাকতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান একটি বেসরকারি সংস্থাকে নিয়ে পড়লেন কেন! তারপরেই সংযোজন, ধনখড় সাহেব যাঁকে নালিশ জানিয়ে এলেন, পিকের প্রথম মক্কেলদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।

এদিন রাজ্যপালের আক্রমণের নিশানা হয়েছিলেন বাংলার প্রশাসনিক কর্মীরাও। জগদীপ ধনখড়ের অভিযোগ, রাজ্যের আমলারা একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী হয়ে গিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন দলদাস। বিধানসভা ভোটে এই পরিকাঠামো ব্যবহারের অনুপযুক্ত। রাজ্যপাল জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর সব কথা মন দিয়ে শুনেছেন এবং সম্মত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের বক্তব্য, যেভাবে দিল্লি থেকে নাম না করে বকলমে রাজ্য চালানোর অভিযোগে প্রশান্ত কিশোরকে বিদ্ধ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তার রাজনৈতিক তাৎপর্য বিশাল।

Comments are closed.