করোনা আবহে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান, মেলা নির্বিঘ্ন করতে পর্যটন দফতরের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের যুগলবন্দী
ভিড় এবার অনেকটাই কম ঠিক তেমন ঠান্ডাও কম
আজ মকর সংক্রান্তি। এই উপলক্ষে গঙ্গাসাগরে চলছে পুণ্যস্নান। নিউ নর্মালে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা অনেকটাই আলাদা। পুন্যার্থী সমাগম যেমন কম ঠিক তেমনই ঠাণ্ডাও অন্যবারের মত নয়। তা বলে উন্মাদনায় কমতি নেই।
পর্যটন দফতর মেলা প্রাঙ্গণে ৩৩ টি গেট বসিয়েছে। প্রতিনিয়ত চলছে লেজার থার্মোমিটার দিয়ে দেহের তাপমাত্রা মাপার কাজ। মাস্কের বাক্স নিয়ে মেলায় ঘুরছেন স্বেচ্ছাসেবকরা। কারও মুখে মাস্ক না দেখলেই দৌড়ে গিয়ে হাতে মাস্ক তুলে দিচ্ছেন তারা। পর্যটন দফতরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছে পুলিশ। নজরদারি চালাতে টহল দিচ্ছে উপকূলরক্ষী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সমুদ্রে নজরদারই চলছে নৌ বাহিনীর।
তবে করোনা আবহে এবার গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির স্নানে আজ অন্যবারের তুলনায় ভিড় অনেকটাই কম। ভিন রাজ্য থেকে যে পুন্যার্থীরা প্রতিবার আসেন, এবার তাঁরাও কম এসেছেন। মেলায় দোকানের সংখ্যা গতবারের চেয়ে কম।
রাজ্য সরকারের তরফে এদিন গঙ্গাসাগরে আসেন মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। সাংবাদিকদের তিনি জানান, করোনা থেকে বাঁচতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতিতে যেন কোন ফাঁক না থাকে তা দেখভাল করতে পর্যটন দফতর কার্যত নেমে এসেছে গঙ্গাসাগরে।
এদিন সকালেই মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হন মন্ত্রী সুজিত বসু। সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে তিনি ই-স্নান করেন। উপস্থিত পুন্যার্থীদের ই-স্নানে উৎসাহ দিতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে।
বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর স্নানের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। জলে ডুব দিয়ে স্নানের অনুমতি দিলেও, ই-স্নানের উপরই জোর দিতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট।
অতিমারির আবহে গঙ্গাসাগরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে, জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। সাগর মেলা প্রাঙ্গণ ও বাবুঘাটকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার আর্জি জানান তিনি। তারপর রাজ্যের কাছে হাইকোর্ট জানতে চায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেশ করার পর মেলার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
Comments are closed.