বিশ্বের বৃহত্তম গণটিকাকরণের সূচনা মোদীর, রাজ্যের ২১২ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মিলবে প্রতিষেধক

অপেক্ষার অবসান, দেশে শুরু হল করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচি

কাউন্টডাউন শেষ। ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দেশজুড়ে সূচনা হল করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন সকাল সাড়ে দশটায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বলেন, ইতিহাসে এত বড় টিকাকরণ কর্মসূচি এই প্রথম। টিকা নিয়ে গুজবে কান দিতে নিষেধ করেন মোদী। তাঁর কথায়, ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু দেশের বৈজ্ঞানিকরা দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। ওঁদের প্রশাংসা প্রাপ্য। ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে সরকার বিনামূল্যে টিকা দেবে। দ্বিতীয় দফায় ৩০ কোটি মানুষ টিকা পাবেন। ধীরে ধীরে সারা দেশবাসীকে টিকা দেওয়া হবে। তবে টিকাকরণ শুরু হলেও, মাস্ক ব্যবহার এবং দূরত্ব বিধি বজায় রাখার আবেদন করেন।

এদিকে রাজ্যের ২১২টি হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রায় ২১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক এদিন টিকা নেবেন। টিকাকরণের জন্য আগেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল। আপাতত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি কোভিশিল্ড প্রতিষেধক তাঁদের শরীরে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দুপুর ১টায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সব কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী-চিকিৎসক ও টিকাপ্রাপকে অভিনন্দন জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের পর আবার সোমবার হবে টিকাকরণ। প্রথম দফায় বাংলার ৬ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার কলকাতার ১৯টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে রোগীকে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হবে।

কলকাতায় এসএসকেএম, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আর জি কর, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন সেবা সদন, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতাল, বেলেঘাটা আইডি, এম আর বাঙুর হাসপাতাল ইত্যাদিতে এই টিকাকরণ কর্মসূচি চলছে।

কেন্দ্র জানিয়েছে, টিকাকরণের প্রথম দফায় করোনা হাসপাতালে যাঁরা কাজ করছেন এমন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি ছাড়াও শনিবার বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালেও টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে।

Comments are closed.