একুশে নন্দীগ্রামে প্রার্থী মমতা, বিজেপির প্রার্থী কে?

একদা নেত্রীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রামেই দাঁড়াবেন শুভেন্দু অধিকারী? 

নন্দীগ্রামের ভরা সভায় মমতা ব্যানার্জি যেই ঘোষণা করলেন তিনিই প্রার্থী সঙ্গে সঙ্গে মাথাচাড়া দিল সেই অবশ্যম্ভাবী প্রশ্ন, বিজেপির প্রার্থী কে? 

২০১৬ সালে এই নন্দীগ্রামের সমাবেশ থেকে শুভেন্দুর নাম ঘোষণা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। ভোটের তখনও অনেক দেরি। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর নাম ঘোষণা করে সেই দিন থেকেই কার্যত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিয়েছিলেন। নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু সম্প্রতি বিধায়ক পদ ছেড়েছেন। সেই অর্থে এই মুহূর্তে নন্দীগ্রাম বিধায়ক বিহীন। সোমবার সেই নন্দীগ্রাম থেকেই মমতা ব্যানার্জি বললেন তিনি এবার নন্দীগ্রামে লড়বেন। কাকতালীয় হলেও সত্যি এবারও ভোট আসতে দেরি আছে অনেকটাই। 

তৃণমূল মমতা ব্যানার্জির নন্দীগ্রামে লড়ার ঘোষণাকে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে বর্ণনা করছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এই সিদ্ধান্ত বদলে দিতে পারে অনেক সমীকরণ। 

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী কে? তৃণমূলের হয়ে যে শুভেন্দু রেকর্ড ভোটে নন্দীগ্রামে জিতেছিলেন তিনি আজ পদ্ম শিবিরে। তিনি কি একদা নেত্রীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রামেই দাঁড়াবেন? 

রাজনৈতিক মহল বলছে নন্দীগ্রামে মমতা বনাম শুভেন্দু যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন তাহলে বিজেপির প্রার্থী কে হবেন? তিনি কি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র নাকি বাইরের কেউ? 

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনকে তৃণমূলের সাফল্যের অন্যতম মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়। সেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রী নিজে লড়লে তার প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই বাকিদের চেয়ে বেশি। তাই সোমবারের ভিড়ে ঠাঁসা সভায় মমতা ব্যানার্জির আচমকা ঘোষণায় সমস্যায় পরে গেছেন বিজেপি নেতারাও। সেক্ষেত্রে মরিয়া হয়ে শুভেন্দুকেই কি নন্দীগ্রামে লড়াই করতে দেখা যাবে? নাকি শুভেন্দু অন্য আসনে সরে যাবেন, নন্দীগ্রামে লড়বেন অন্য কেউ? তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না। সবমিলিয়ে মমতার আচমকা ঘোষণায় হোঁচট বিরোধীদের। এখন সবার চোখ মঙ্গলবার হেড়িয়া মোড়ে শুভেন্দুর সভার দিকে। 

Comments are closed.