সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই, আদালত অবমাননা মামলায় জানালেন কুণাল কামরা
ক্ষমতাশালী কোনও প্রতিষ্ঠান সব রকম সমালোচনার উর্দ্ধে, এটা ভাবা অন্যায্য
নিজের ট্যুইটের জন্য ক্ষমা চাইবেন না, সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা এফিডেভিটে জানিয়ে দিলেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এক আবেদনকারী দাবি করেন কুণাল কামরার একাধিক ট্যুইটে আদালতের সম্মানহানি হয়েছে, এই মর্মে সুপ্রিম কোর্ট কমেডিয়ান কুণাল কামরাকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠায়। আদালতের নোটিশের জবাবে শুক্রবার কুণাল একটি এফিডেভিট জমা দেন। এফিডেভিটে তিনি লেখেন ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা তার কাজের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাকে নিয়ে করা সমালোচনার উপর নয়। তিনি আরো যোগ করেন তাঁর জোকস বা ট্যুইটগুলি বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী আদালতের ভিত্তি নড়িয়ে দেবে, এটা ভেবে তাঁর কাজকেই মাত্রাতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’৷
এফিডেফিটে কুণাল লেখেন ‘ক্ষমতাশালী কোনও প্রতিষ্ঠান সব রকম সমালোচনার উর্দ্ধে, এটা ভাবা অন্যায্য। যেমন অন্যায্য দেশে অপরিকল্পিত লোকডাউন চলার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বলে দেওয়া, বাড়ি ফেরার জন্য নিজেরাই নিজেদের রাস্তা খুঁজে নিক’।
অপর এক কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে কুণালের দাবি ‘আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে আহত হতে দেখছি যখন মুনাওয়ার ফারুকিকে গ্রেফতার করা হল এমন একটি স্ট্যান্ড আপের জন্য যার স্ক্রিপ্ট তিনি লেখেননি’। স্কুল পড়ুয়াদের দেশদ্রোহিতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করারও তিনি সমালোচনা করেন। আদালত মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে দেখবে বলেই তার বিশ্বাস, এফিডেভিটে উল্লেখ কুণালের।
এর আগেও একাধিকবার আলোচনার কেন্দ্রে এসেছেন কুণাল কামরা। রিপাবলিক টিভির অর্ণব গোস্বামীকে প্লেনে প্রশ্ন করতে গিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন এই স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান।
Comments are closed.