২১-এর হাই ভোল্টেজ নির্বাচনের প্রথম দফার জন্য ৪০ জন তারকা প্রচারকের নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। এরমধ্যে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম ছিল। তালিকায় ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, নীতিন গড়করি, শিবরাজ সিং চৌহান, যোগী আদিত্যনাথ।
কিন্তু প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন যত এগিয়ে আসছে দেখা যাচ্ছে প্রচারে ঝড় তুলতে মোদী-শাহ ছাড়া আর কারও উপর ভরসা রাখতে পারছে না বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রচারকের তালিকায় ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও শিবরাজ সিং চৌহানের মতো তারকাদের নাম থাকলেও তাঁদের চাহিদা সেই অর্থে নেই।
এমনিতেই ফাঁকা সভা নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই বঙ্গ বিজেপির। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, ভোটের ঠিক মুখে তাই আর কোনও ঝুঁকি না নিয়ে মোদী-শাহকেই আঁকড়ে ধরছেন তাঁরা।বিজেপি নেতাদের একটি অংশ বলছেন, মোদী-শাহ ছাড়া আর কোনও সভাতেই তেমন লোক চোখে পড়েনি। গত একমাসের মধ্যে রাজ্যে এসেছেন নাড্ডা, যোগী, রাজনাথরা। পুরুলিয়ার বলরামপুরে যোগীর সভায় মাঠ ছিল অর্ধেকের বেশি খালি ছিল। দাসপুরে রাজনাথ সিংহের সভাতেও জনসমাগম দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শালবনির সভাতেও ভিড় ছিল না।
এরইমধ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর রবিবার রাজ্যে চতুর্থ সমাবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে রাজ্য নেতৃত্বের নেতাদের দেখা যায়নি। সভা পরিচালনা করেছেন স্থানীয় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। একই ছবি এগরায় অমিত শাহের সভাতেও। সেখানে শিশির বিজেপিতে যোগ দেন কিন্তু ছিলেন না শুভেন্দু, মুকুলের মত রাজ্য বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা।
সূত্রের খবর, প্রচার নীতিতে বদল এনে এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চ্যাটার্জি, স্বপন দাশগুপ্ত, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব ব্যানার্জিদের নিজ নিজ কেন্দ্রে নজর দিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, সেই নির্দেশ পেয়েই নন্দীগ্রামে নিজের প্রচার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন শুভেন্দু। সোমবার থেকেই দৈনিক ৯-১০ টি করে কর্মসূচি করছেন তিনি। ভোট পর্যন্ত এর বদলের সম্ভাবনা দেখছেন না পর্যবেক্ষকরা। এদিকে মঙ্গলবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। বুধবার ফের আসবেন মোদী। কাঁথিতে সভা করবেন মোদী। এছাড়াও এই দু’জনকে দিয়ে আরও একাধিক সভা ও রোড শো করানোর পরিকল্পনা আছে বিজেপির।
রাজ্যে ভোটের আগে ৭০টি সভা করার কথা ছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। বাংলায় প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ আর মাত্র ৫ দিন পরে। শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে ২৭ মার্চ নন্দীগ্রামে যাওয়ার কথা রয়েছে অমিত শাহের।
এদিকে বাংলার পাশাপাশি নির্বাচন অসমেও। সেখানে বিজেপির কাছে সরকার ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। দুই জায়গাতেই ভরসা সেই দু’জনই। এখন দেখার মোদী-শাহে ভর করে বিজেপি বাংলায় ভোট বৈতরণী পেরোতে পারে কিনা।
Comments are closed.