৫ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট শেষ। এবার ফলের পালা। ভোট মিটতেই সামনে আসছে একের পর এক সংস্থার Exit Poll. সেই সমীক্ষায় আলাদা করে নজর কাড়ছে বামেরা। কেরল থেকে পাওয়া যাচ্ছে এক অন্যরকম ইঙ্গিত।
দক্ষিণের রাজ্য কেরল প্রতি ৫ বছর অন্তর সরকার বদলাতে দেখে। কোনওবার বামেরা জিতলে পরেরবার অবশ্য জয় পায় কংগ্রেস। এমনটাই চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। একুশের ভোটে কি সেই প্রবণতাও বদলাতে চলল?
এই প্রশ্নের কারণ, একের পর এক Exit Poll এর ফলাফল। যেখানে সবকটিতেই দেখানো হয়েছে এবার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেন পিনারাই বিজয়ন। ২ তারিখ সত্যিই তেমন ঘটলে তা হবে নজিরবিহীন। যদিও বুথ ফেরত সমীক্ষাই যে সত্য, তেমন ব্যাপার নয়। বরং উলটোটা ঘটেছে একাধিকবার।
এখনও পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছে কেরলে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরছে বামেরা। এমনকী কোনও সমীক্ষাতেই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ দুই অঙ্ক টপকাতে পারছে না। উলটোদিকে প্রতিটি সমীক্ষাই বলছে কেরলে বাম ঝড় অবশ্যম্ভাবী।
কিন্তু প্রশ্ন হল, যে কেরলের মানুষ প্রতি ৫ বছর অন্তর শাসক বদলান তাঁরা বিজয়ন সরকারকে কেন দ্বিতীয় সুযোগ দেবেন? উত্তরটা প্রশ্নের মতো সরল নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে পিনারাই সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পিছনে কাজ করছে একাধিক ফ্যাক্টর।
করোনা অতিমারি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাকিদের অনেক যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছে পিনারাই সরকার। গত বছর করোনা অতিমারি চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছিল কেরলের বাম সরকার। পাশাপাশি দুর্ভোগের সময় কেরলবাসী পাশে পেয়েছিল সরকারকে। শুধু কি করোনা? পাশাপাশি দক্ষিণের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অশোক পাড্ডিকেলের মতে কেরলের মানুষ অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা বেশি বামেদের। তাই এবারও বামেই ভরসা রাখছে দেশের সবচেয়ে শিক্ষিত রাজ্য, মত অশোকের। আর রাজনৈতিক মহল বলছে, মূলত মানুষের পাশে থেকে সরকারের কাজ করেই আজ বিজয়ন ইতিহাস গড়ার মুখে দাঁড়িয়ে। সাম্প্রতিক কালে এই প্রথম পরপর দু’বার কেরল জয়ের পথে লাল ঝাণ্ডা।
Comments are closed.