বিমানবন্দরে আদানি গোষ্ঠীর বরাত পাওয়া নিয়ে তোপ কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর, প্রকল্পে কোনও সহায়তা নয়, বললেন বিজয়ন

জুলাই মাসের মধ্যেই দেশের ৬ টি বিমানবন্দর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ভার আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে চায় মোদী সরকার। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে আরও একবার অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
রবিবার দিল্লিতে অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব প্রদীপ সিংহ খারোলার সঙ্গে বৈঠক শেষে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানান, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কোনও বেসরকারি সংস্থার পক্ষে বিমানবন্দর তৈরি করা সম্ভব নয়। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন মোদী সরকার যে কায়দায় আগামী ৫০ বছরের জন্য তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজয়ন জানান, এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সহযোগিতার প্রত্যাশা যেন না করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে রাজ্য সরকারকে লেখা এক চিঠিতে অসামরিক বিমান পরিবহণ সচিব জানিয়েছিলেন, বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা কেন মানা হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়ন।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আহমেদাবাদ, তিরুবনন্তপুরম, লখনউ, গুয়াহাটি, জয়পুর এবং ম্যাঙ্গালুরু, এই ৬টি বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার ভার মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার হাতে তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তিরুবনন্তপুরম বিমানবন্দরের ভার আদানি গোষ্ঠীর হাতে দিতে নারাজ কেরল সরকার।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠিও দিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি অভিযোগ করেছিলেন, মোদী ঘনিষ্ঠ হওয়ার সূত্রেই আদানি গোষ্ঠীকে বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত পাইয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে কেরল হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে।

Comments are closed.