ডিজিটাল পদ্ধতিতে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা পরিচালনা করে প্রশংসিত। কেন্দ্রের পুরস্কার পেল বাংলা। সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানিয়েছেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরে ডিজিটাল মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে রাজ্য সরকার। সেই কাজের স্বীকৃতি বাংলাকে দিয়েছে কেন্দ্র। তাঁর কথায়, দু’বছর ধরে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ চলছে। এরমধ্যে পঞ্চায়েত স্তরে মানুষের কাছে পৌঁছতে রাজ্য সরকার হাতিয়ার করেছে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে। সুব্রত মুখার্জির দাবি, এর জেরে গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে সব পরিষেবা পৌঁছে গেছে খুব সহজেই।
সাংবাদিক বৈঠক থেকেই কেন্দ্রের পুরস্কার পাওয়ার কথা জানান সুব্রত মুখার্জি। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রকের মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের পাঠানো প্রশংসাপত্র দেখিয়ে সুব্রত বাবু জানান, পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় ই-গভরনেন্সে ২৮ রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে বাংলা। তাই কেন্দ্র বাংলার পঞ্চায়েত দফতরকে পুরষ্কৃত করেছে।
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর মুখে উঠে আসে ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত দফতর ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১০০ দিনের কাজে আরও জোর দেবে।
শনিবার দেশের আড়াই লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সেরা হয়েছে পাথরপ্রতিমার দিগম্বপুর। দু’বছর আগেও সেরার পুরস্কার পেয়েছিল তৃণমূল পরিচালিত সুন্দরবন এলাকার একটি পঞ্চায়েত।
শনিবার বর্ধমান, বীরভূম, পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি কেন্দ্রের বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে। কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের আবহে দেশের সেরা পঞ্চায়েতের সম্মান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
Comments are closed.