রিকশা চালিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়েছিলেন। বলাগড় কেন্দ্র থেকে জীবনে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই জয়ী হয়েছেন। প্রচন্ড অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে ওঠা এই দলিত সাহিত্যিক একসময়ে পেট চালিয়েছিলেন রিকশা টেনেই। ভোটের আগে তাঁর সমর্থকদের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘রিকশা এবার বিধানসভায়’। আর তাই সত্যি হয়েছে। আজ বলাগড়ের প্রতিটি মানুষের মুখে ঘোরে তাঁদের প্রিয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নাম।
ঘাত-প্রতিঘাতে ভরা ব্যক্তিগত জীবন থেকে ভোটে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়ানো, জেতা সবকিছুর পরেও তিনি ভুলে যাননি রিকশাকে। যেটা একসময় যেমন তাঁর খাদ্য যোগানের সঙ্গী ছিল। পাশাপাশি রিকশার মাধ্যমে তিনি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন সমাজের খেটে খাওয়া, প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধি। কিন্তু এতদিন তাঁর নিজের কোনও রিকশা ছিল না। এবার সাধারণ মানুষের দয়াতেই একটি নতুন টোটো রিকশা পেয়েছেন তিনি। আর সেটা পাওয়া মাত্রই বলাগড়বাসীর কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি, যে কোন দিন কে কোন সময় মানুষের সেবায় এই বাহন নিয়ে ঠিক পৌঁছে যাব। টুইটারে সেই কথা জানিয়েছেন তিনি।
আপনাদের বিধায়ক, আপনাদের সেবক। এতদিনে তার আপনাদের আশীর্বাদে, দয়া আর দানে নিজের একটা বাহন হলো। যে কোন দিন যে কোন সময় এই বাহন বিধায়ককে নিয়ে পৌছে যাবে আপনার দরজায়। pic.twitter.com/ZeVsn8gQPL
— Manoranjan Bapari (@ManoranjanAITC) June 16, 2021
ছোট বেলায় চুরির দায়ে জেলেও যেতে হয়েছিল মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। জেলে বসেই তার পড়াশোনা শেখ। নিজের হাতে রান্না করেছেন, ডোমের কাজ করেছেন, চা বিক্রি করেছেন, রিকশা টেনেছেন আবার সাহিত্য চর্চাও করেছেন। তাঁর লেখার মধ্যে ফুটে ওঠে দলিত সমাজের দুঃখ কষ্টের কথা। পরবর্তী সময়ে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির সভাপতি হন তিনি।
Comments are closed.