ত্রিপুরার নিয়ে দিল্লিতে বিজেপির বিরুদ্ধে মাঠে নামার ঘোষণা তৃণমূলের। শনিবার দুপুর থেকে কার্যত উত্তাল ত্রিপুরা। দেবাংশু, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহা সহ তৃণমূলের ১৪ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার এবং হেনস্থা, গাড়ি ভাঙচুর সহ একাধিক ইস্যুতে এবার দিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা ঘাসফুল শিবিরের। সোমবার সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাবেন রাজ্যসভা এবং লোকসভার সদস্যরা।
জানা যাচ্ছে ধৃত তৃণমূল নেতাদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু এবং দোলা সেনও আদালতে গিয়েছেন। সূত্রের খবর রবিবার আদালতে যাওয়ার পথে ফের একবার তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের গাড়িতে আক্রমণ চালানো হয়। এই ঘটনার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
শনিবার দুপুরে দেবাংশুদের গাড়িতে হামলা চালানোর পর থেকেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। হামলার প্রতিবাদে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সারা রাত অবস্থান বিক্ষোভ করেন সুদীপ, দেবাংশুরা। এদিকে রবিবার ভোরেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারির প্রতিবাদে থানায় যান অভিষেক ব্যানার্জি। কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু, দোলা সেনরাও উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় পুলিশের। দোষীদের গ্রেফতারি এবং তৃণমূল নেতাদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর অভিযোগ, মহামারী আইনে যদি তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে বিজেপির কয়েক হাজার কর্মী যাঁরা থানার বাইরে জমায়েত করেছেন তাঁদের কেন গ্রেফতার নয়।
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও থানায় বসে রয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। তিনি জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তিনি থানা ছাড়বেন না।
Comments are closed.