বাবা সন্তোষ মোহন দেব ছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা, দীর্ঘ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। মা বীথিকা দেবও আসামের শিলচরের বিধায়ক ছিলেন। আদ্যপ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম তাঁরও রাজীনীতিতে আসা এক প্রকার ঠিক ছিল। ২০১৪ সালে আসামের শিলচর থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়ে লোকসভায় পৌঁছান সুস্মিতা দেব। বর্ষীয়ান রাজনীতিকের মেয়ে হয়েও রাজনীতিতে নিজের আলাদা ছাপ রাখতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা। ঘাসফুল শিবিরে আসার আগে সর্ব ভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী ছিলেন তিনি। মিরিন্ডা কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক সুস্মিতা আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। দিল্লি ইউনির্ভসিটি থেকে কর্পোরেট এবং কমার্শিয়াল আইন নিয়ে এলএলবি করেন তিনি। এরপর কিংস কলেজ লন্ডন থেকে তাঁর পরবর্তী পড়াশুনা শেষ করেন।
তৃণমূলে যোগদানের পরেই আসাম এবং ত্রিপুরার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। সংগঠন মজবুত করতে এই দুই রাজ্যে কার্যত মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন সুস্মিতা। রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণার পরেই দলনেত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি ট্যুইটে লেখেন, লোকসভায় মহিলা সদস্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে ওনার চেষ্টা দৃষ্টান্তমূলক।
https://twitter.com/SushmitaDevAITC/status/1437728415285530625?s=20
উল্লেখ্য, এর আগে দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে জহর সরকারকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে তৃণমূল।
Comments are closed.