হিন্দি ভাষা নিয়ে দেশ জুড়ে চলা বিতর্কের মাঝেই আদালতে স্থানীয় ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এত বছর পরেও দেশের প্রতিটি হাইকোর্টে এবং সুপ্রিম কোর্টে ইংরেজি ভাষাতেই সমস্ত কাজ হয়। যার ফলে দেশের একটি বড় অংশের মানুষ আইন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে আদালতের নির্দেশও বুঝতে পারেন না। আমাদের উচিত আদালতের কাজে স্থানীয় ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আইনের ভাষা সহজ হলে সাধারণ মানুষের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়বে, পুরো প্রক্রিয়াটির সঙ্গে তাঁরা নিজেদের সংযুক্ত মনে করবেন।
শনিবার বিচারপতিদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, হাইকোর্টের বিচারপতিরা এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের একটি সাধারণ ছেলের কাছে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় ভাষা। স্থানীয় ভাষার ব্যবহার বাড়লে সেই ছেলেটির সঙ্গেও ন্যায় করা হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন তোলেন, দেশে কারিগরি শিক্ষা এবং মেডিক্যালের পড়াশোনাও কেন মাতৃ ভাষায় সম্ভব নয়? তবে প্রধানমন্ত্রী জানান, অনেক রাজ্যই ইতিমধ্যেই মাতৃভাষায় মেডিক্যাল এবং কারিগরি পড়াশোনা শুরু করেছে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি, সম্প্রতি সরকারি কাজে হিন্দির ব্যবহার বাড়ানোর দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভারতের মতো একটু বহু ভাষাভাষীর দেশে শুধুমাত্র হিন্দিকেই কেন গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিরোধীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল। এই আবহে স্থানীয় ভাষার গুরুত্ব বাড়ানোর কথা বলে প্রধানমন্ত্রী যেন সেই বিতর্কের রাশ টানতে চাইলেন।
Comments are closed.