আমাদের চেনা পরিচিত প্রাণী গুলির মধ্যে অন্যতম মাংস প্রেমী উভচর প্রাণী হলো কুমির। অন্যান্য হিংস্র প্রাণী বাঘ, সিংহের মতো কুমিরকেও মানুষ সাধারণত এড়িয়ে চলে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এই কুমিরের গল্প একেবারে আলাদা।কেরালার শ্রী অনন্তপদ্মনাভ স্বামী মন্দিরের হ্রদে গত কয়েক দশক ধরে বসবাস করত এই কুমির। রবিবার গভীর রাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। বিশ্বের একমাত্র কুমির যে ছিল নিরামিষাশী। মন্দিরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্দিরের লেকে ৭০ বছর ধরে বসবাসকারী এই কুমিরটিকে বলা হতো ‘বাবিয়া’। শনিবার থেকেই বাবিয়া নিখোঁজ ছিলেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃত কুমিরটিকে হ্রদে সাঁতার কাটতে দেখা যায়।
মন্দির প্রশাসন পুলিশ ও পশুপালন দফতরকে খবর দেয়। মৃত কুমিরটিকে হ্রদ থেকে বের করে একটি কাচের বাক্সে রাখা হয়। সোমবার শেষ শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনীতিবিদসহ বহু মানুষ। মন্দিরের আধিকারিকদের দাবি যে কুমিরটি নিরামিষাশী ছিল এবং মন্দিরে তৈরি ‘প্রসাদম’-এর উপর নির্ভরশীল ছিল।
মন্দিরের কর্তৃপক্ষ থেকেই জানা যায় যে বাবিয়া কোনদিনও কাউকে কোনরকম আক্রমণ করেনি। ভীষণে শান্ত এবং নম্র ভদ্র স্বভাবের ছিল বাবিয়া। সারা জীবন সে মন্দিরের প্রসাদ ভক্ষণ করেই নিজের জীবন কাটিয়েছে। মাছ মাংস ছুঁয়েও দেখেনি কোনদিন। কুমির বিশেষজ্ঞ অনির্বাণ চৌধুরী আনন্দবাজারের কাছে বলেছেন, ‘‘বিষয়টি কিছুটা হলেও অস্বাভাবিক। যে কুমিরটিকে নিরামিষাশী বলে বর্ণনা করা হচ্ছে, সেটি আসলে মিষ্টি জলের কুমির (মগর)। মাছ এদের স্বাভাবিক খাদ্য। তবে হরিণ, বন্য শূকরের মতো প্রাণীর মাংসও খায় এরা।’’
Comments are closed.