সাধারণ মানুষকে বড় স্বস্তি দিয়ে দাম কমেছে আলুর। জ্যোতি, চন্দ্রমুখী দুই ধরণের আলুর দামই কমেছে। আলুর দাম কম হলেও পেঁয়াজের দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে অনেক জেলাতেই। বেশ কিছু জেলায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে নবান্নের বৈঠক থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি হিমঘর থেকে বাজারে আলু আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই দাম কমেছে আলুর।
অন্যদিকে এইভাবে লাগাতার দাম কমায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন আলু ব্যবসায়ীরা। কারণ, এখনও রাজ্যের হিমঘরগুলিতে প্রায় ৩০ শতাংশ আলু মজুত রয়েছে। কিন্তু ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘর খালি করে দিতে হবে। এর পরেও মজুত করা আলু নষ্টের আশঙ্কাও রয়েছে। বাড়তি লাভের আশায় হিমঘরে আলু মজুত করেছিলেন বাংলার বাংলার ব্যবসায়ীরা। এখন সেই আশাই ক্ষতির আশঙ্কায় বদলে গিয়েছে। মাস দুয়েক আগেও ৫০ কেজির প্রতি বস্তা আলুর দাম ৭০০ টাকার আশপাশে ছিল। কিন্তু বর্তমানে ৫০ কেজি কেজি আলুর দাম দাঁড়িয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।
কয়েকমাস আগেও সমস্ত খুচরো বাজারে বেড়ে গিয়েছিল আলুর দাম। আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছিল অন্য সুর। কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চ্যাটার্জি বলেছিলেন, আলু চাষের মরশুমে আবহাওয়া ভালো না থাকার জন্য চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
Comments are closed.