একটা সময় শিরা উপশিরার মতো শহরের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা মিলত দেখা তাদের। তবে গতির লড়াইয়ে হার মেনে প্রায় বিলুপ্তির পথে। শহর জুড়ে ট্রামলাইন ছড়িয়ে থাকলেও ট্রামেদের আর তেমন ভাবে দেখা মেলে না। কমতে কমতে এসপ্ল্যানেড-গড়িয়াহাট, টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ, মাত্র দুটো রুটেই এখন ট্রাম চলে। ট্রাম না চললেও তার নস্টালজিয়া থেকে গিয়েছে। শহর কলকাতাকে বোঝাতে গেলে যে যে জিনিসগুলোকে এক্কেবারেই বাতিল করা যাবে না, তাদের মধ্যে আজও রয়ে গিয়েছে ট্রাম। এবং তাকে ঘিরে অজস্র স্মৃতি। সেই ট্রামই এবার পা দিল দেড়শো বছরে। ঠিক দেড়শো বছর আগে ট্রাম চলা শুরু করেছিল শহর কলকাতায়। সেই স্মৃতি উদযাপন করতে পরিবহন দফতরের সাহায্যে ৫ দিন ব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন একদল ট্রামপ্রেমী শহরবাসী।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ট্রামের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে ‘ট্রামযাত্রা’ নামে ওই সংগঠন শনিবার গড়িয়াহাট ট্রাম ডিপোতে উৎসবের সূচনা করেছে। পরিবহন দফতরেরও বহু আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এবছর উৎসবের থিম ‘হেরিটেজ-বিশুদ্ধি-বাতাস-গ্রিন মোবিলিটি’। এই থিমকে ধরে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শহরের তিন চারটি ট্রামকে সাজিয়ে তোলা হবে। এছাড়াও এসপ্ল্যানেড একটি ট্রামে এগজিবিশনের আয়োজন করা হবে। সেখানে সারা পৃথিবীর মডেল ট্রাম থাকবে। এছাড়াও শহরজুড়ে চলন্ত ট্রামে নাটক, কবিতা, গানের মতো বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে। সংগঠনের এই সদস্য জানান, অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহরের পরিবহনে ট্রামের গুরুত্ব বোঝানোর প্রয়াস করবো আমরা। সেই সঙ্গে ধর্মতলা থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত যাতে ফের ট্রাম চালু করা যায়, তা নিয়েও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।
Comments are closed.