একুশের ভোটে তৃণমূলে পরিবারতন্ত্রকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে তুলে ধরেছিল বিজেপি। সেই সূত্রেই মোদী-শাহের মুখে নিত্য শোনা গেছে ভাইপো-আক্রমণ। ভোটের ফল বলছে বিজেপির পরিকল্পনা কাজে আসেনি। উল্টে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জি। দায়িত্ব পেয়ে প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী ২০ বছর রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদে দেখা যাবে না তাঁকে।
আত্মপ্রকাশেই ছক্কা হাঁকালেন। এমনটাই বলছেন তৃণমূল নেতারা। আগামী ২০ বছর অভিষেক ব্যানার্জি যে প্রশাসনের কোন পদে আসার কথা ভাবছেন না, এটা ঘোষণা করে কার্যত বিজেপির পরিবারতন্ত্রের অভিযোগের মুখ বন্ধ করলেন বলে মনে করছেন তাঁরা। এদিন অভিষেক ব্যানার্জি বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে এক ব্যক্তি এক পদে বিশ্বাস করি। বিজেপি নেতারা কি অমিত শাহ, জয় শাহ, একজনকে পদ ছাড়তে বলবেন? বিজেপি যদি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করে তাহলে প্রথমে ব্যবস্থা নেওয়া হোক জয় শাহের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের তরুণ সাধারণ সম্পাদক বলেন, চ্যারিটি বিগিন্স অ্যাট হোম!
অভিষেক জানিয়েছেন, তাঁর জাতীয় প্ল্যান তৈরি করতে সর্বাধিক ১ মাস সময় লাগবে। ১ মাস পর প্রকাশ্যে পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। তাঁর দাবি, এবার তৃণমূল যে রাজ্যকে টার্গেট করবে, সেখানে শুধু ভোট শতাংশ বাড়ানো নয় বরং মানুষের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যেই যাবে। তা কীভাবে হবে সেই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। জানান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ বলছেন অন্য কথা। বাংলা শেষ কবে ৩ ভাষায় অনর্গল কথা বলতে দেখেছে কোনও তরুণ নেতাকে? রাজ্যপালের প্রসঙ্গে যেভাবে সামান্য বলে বাকিটা মানুষের উপর ছেড়েছেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের জাজমেন্ট ও টাইমিংয়ের প্রশংসা করেছেন পর্যবেক্ষকরা। তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যেভাবে শুভেন্দুর রাজনৈতিক কটাক্ষের জবাব দেওয়ার সময় শুধু রাজনীতিতেই নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন তাতেও পরিণতমনস্কতার ছাপ পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহল। সবমিলিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিষেকেই নজর কাড়লেন অভিষেক ব্যানার্জি।
Comments are closed.