বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বঞ্চনার অভিযোগের পর এবার অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।
মঙ্গলবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি লেখেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ যখন তীব্র অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে, তখন অপরিশোধিত তেলের কম দামের সুবিধা ছিনিয়ে তার উপর রেকর্ড পরিমাণ শুল্ক বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। মানুষের দুর্গতির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন অভিষেক। ওই ট্যুইটে হ্যাশট্যাগ দিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘মোদীবাবু পেট্রল বেকাবু।’
সেই সঙ্গে গত তিন মাসে কীভাবে পেট্রল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তার বিবরণ তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, মার্চ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত কলকাতায় পেট্রলের দাম প্রতি লিটারে প্রায় ৯ টাকা বেড়েছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার শুল্ক বৃদ্ধি করেছে ৬৫.০৭ শতাংশ। ডিজেলের দামও বেড়েছে ৯ টাকার কাছাকাছি। শুল্ক বৃদ্ধি ১০০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম তলানিতে পৌঁছনো সত্ত্বেও দেশে মোটা টাকা দিতে হচ্ছে জ্বালানি কিনতে। মূলত তেলের দামের ওপর কেন্দ্র ও রাজ্য যে অতিরিক্ত কর বসায় নিজেদের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য, তার ফলেই আসল দামের থেকে অনেকটা বেশি খরচ করে তেল কিনতে হয় আম-আদমিকে। এই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করছে বিরোধীরা।
গত রবিবার পর্যন্ত টানা ১৫ দিন মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে পেট্রল ও ডিজেলের। যা গত দু’বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এখনও পর্যন্ত গত ১৬ দিনে পেট্রল ও ডিজেলের দাম ৮ টাকারও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবারের তুলনায় আবার মঙ্গলবার ভারতের বিভিন্ন শহরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম লিটার প্রতি বেশ কিছু পয়সা বেড়েছে। কলকাতায় পেট্রল আর ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৮১.৪৫ টাকা, যা সোমবার পর্যন্ত ছিল ৮১.২৭ টাকা। ডিজেলের দাম হল ৭৪.৬৩ টাকা, যা সোমবারে ছিল ৭৪.১৪ টাকা। সারা দেশেই গত ৭ জুন থেকে ধাপে ধাপে বাড়ছে জ্বালানি তেলের দাম। শহর বিশেষে বিভিন্ন রাজ্য সরকারের স্থানীয় শুল্কের তারতম্যের ফলে এই মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণও ভিন্ন।
Comments are closed.