ত্রিপুরাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছে তৃণমূল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্যাড ছাপিয়ে রাখুন; বিপ্লবকে আক্রমণ অভিষেকের
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার বিকেলে ত্রিপুরায় দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক ব্যানার্জি। বৈঠকের শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। অভিষেকের ঘোষণা, ত্রিপুরাকে তৃণমূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছে। সেই সঙ্গে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, বিপ্লব বাবুকে বলব প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্যাডটা ছাপিয়ে রাখুন।
সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এই প্রথম কোনও ভিন রাজ্যে পা রাখলেন অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর এই সফরের দিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। সফর ঘিরে ত্রিপুরায় যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় এদিন তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন অভিষেক। বলেন, এভাবে ধমকে, চমকে তৃণমূলকে আগেও আটকানো যায়নি, এখনও যাবেনা। তাঁর অভিযোগ, একজন সাংসদ এসিবে যদি আমার উপরে এভাবে আক্রমণ করা হয়, তা হলে ত্রিপুরাবাসীর নিরপত্তা কোথায়?
সেই সঙ্গে অভিষেকের ঘোষণা, ত্রিপুরার মাটিতে যখন তৃণমূল পা দিয়েছে আগামী দেড় বছরের মধ্যে এখানে উন্নয়নের সরকার প্রতিষ্ঠা করে তবেই রাজ্য ছাড়বে। তিনি এও জানান, আর কিছু দিনের মধ্যেই ত্রিপুরার সমস্ত বুথে তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি হবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেন, বিপ্লব বাবুকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। দিল্লি থেকে যা রিমোটে টেপা হচ্ছে এখানে তাই চ্যানেল চলছে। তারপরেই অভিষেকের ঘোষণা, আগামী দিনে দিল্লি বা গুজরাট এমনকী বাংলা থেকেও ত্রিপুরার সরকার চলবে না, সরকার ত্রিপুরা থেকেই চলবে। এখানকার ভূমি পুত্রই আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।
এদিন বিরোধীদের এমনকী গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের উদ্দেশ্যেও অভিষেকের বার্তা, আগামী দিনে ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে সিপিএম, কংগ্রেস এমনকী বিজেপি থেকেও কেউ আসতে চাইলে তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমাদের হাত শক্ত করুন। যদিও তিনি এও বলেন, বাংলায় বিজেপি যেভাবে দল ভাঙানোর রাজনীতি করেছে আমরা এখানে তা করতে চাইনা। আমরা মানুষের রায়কে সম্মান করি।
প্রতি ১৫ দিন অন্তর ত্রিপুরায় আসবেন বলে এদিন জানান অভিষেক ব্যানার্জি। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত ব্যানার্জি, দেবাংশু ভট্টাচার্য সহ তৃণমূলের একঝাঁক তরুণ নেতৃত্ব।
Comments are closed.