ফের ত্রিপুরা সফরে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ফের আগরতলায় আসবেন তৃণমূল সাংসদ।
ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছিলেন, যে রাজ্যে তৃণমূল পা রাখবে সেই রাজ্যই দখল করবে। তাঁর ইঙ্গিত যে ত্রিপুরার দিকে ছিল তা স্পষ্ট।
এদিকে বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত সুদীপ রায় বর্মণ সম্প্রতি আরও কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে আলাদা মিটিং করেছেন। এই মিটিং প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের চাঞ্চল্যকর দাবি, ত্রিপুরা বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আবহে অভিষেক ব্যানার্জির ত্রিপুরা সফর রাজ্যনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
২০২৩ ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। বিপ্লব দেব সরকারের পতন ঘটিয়ে ত্রিপুরার শাসনভার হাতে নিতে মরিয়া ঘাসফুল শিবির। ২০২৩ কে পাখির চোখ করে উত্তরপূর্বের রাজ্যে রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে কোমর বেধে নেমেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
প্রায় রোজই তৃণমূলের কোনও না কোনও বিধায়ক, সাংসদ, নেতা ত্রিপুরা সফর করেছেন। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক। এর আগে তাঁর দুটি সফর ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। প্রথম সফরেই তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয়।
সেপ্টম্বরের সফরে ত্রিপুরা তৃণমূলের জন্য কী বার্তা দেন অভিষেক ব্যানার্জি এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.